‘এইডসের প্রতিষেধক আসবে ২০৩০ সালের মধ্যেই’

২০৩০ সালের মধ্যে এইচআইভি/এইডস প্রতিষেধক টিকা এবং প্রাণঘাতী এই রোগের চিকিৎসায় কার্যকর ওষুধ উদ্ভাবন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিল গেটস।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2015, 03:01 PM
Updated : 26 Jan 2015, 03:12 PM

এইডসে আক্রান্ত হয়ে গত তিন দশকে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম’ এর বার্ষিক সভায় গেটস বলেন, “আগামী ১৫ বছরের মধ্যে এইডসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নতুন দুটি হাতিয়ার পেয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই আশাবাদী।”

“টিকা নতুন কারো এইচআইভি সংক্রমণ ঠেকাবে। আর নতুন ধরনের কার্যকর ওষুধ আবিষ্কার হলে আক্রান্ত ব্যক্তি সারা জীবন চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা থেকে মুক্তি পাবেন,” বলেন মাইক্রসফটের এই প্রতিষ্ঠাতা। ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এ খবর দিয়েছে।

২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিল গেটসের দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘বিল অ্যান্ড মেন্ডিলা গেটস ফাউন্ডেশন’ চিকিৎসা গবেষণার জন্য প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে।

সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে এইচআইভি আক্রান্ত অনেক মানুষের চিকিৎসা হচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত সেখানে নতুন করে এইডস সংক্রমণ কমেছে।

এইচআইভি প্রতিষেধক বা প্রতিরোধের একটি উপায় আবিষ্কারের পথে ফাউন্ডেশনটির কার্যক্রম এবং উন্নতি নিয়ে এক বার্ষিক প্রতিবেদনে গেটস দম্পতি বলেন, “বিশ্বের যে অঞ্চলে এইচআইভি সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে সে অঞ্চলেই যখন আমরা ক্রমশ উন্নতির দিকে যেতে পেরেছি তখন বলা যায় পুরো বিশ্বে প্রথমবারের মত নতুন করে এইচআইভি সংক্রমণের হার কমতে শুরু করবে।”

“৩০ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রথম এ রোগ সনাক্ত হওয়ার পর এই প্রথম অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।”

ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক আবিস্কারেও বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গেটস। তিনি বলেন, ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কারের কাজ এইচআইভি’র টিকা আবিষ্কারের কাজের চেয়ে বেশি এগিয়েছে।

গ্ল্যাক্সোস্মিথলাইন নামের একটি ফার্ম ২০১৪ সালের জুলাইয়ে বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়ার টিকা অনুমতির জন্য পেশ করেছে।

শুক্রবার ডাভোস ফোরামে গেটস আরও বলেন, “আমরা এখনই এইডসের শেষ দেখছি না। তবে ম্যালেরিয়া ও এইডসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ কমিয়ে আনার উপায় আমরা দেখতে পাচ্ছি। আগামী ১৫ বছরের মধ্যেই এই উপায় আবিষ্কার হবে।”

এছাড়া, অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে আগামী ১৫ বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণের জীবনযাত্রার মান দ্রুত গতিতে বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।