সাইবার খিলাফতের এই দাবি সত্বেও সোমবার এমএএস জানিয়েছে, তাদের ডাটা সার্ভার অক্ষত রয়েছে এবং প্যাসেঞ্জার বুকিংয়েও এসবের কোনো প্রভাব পড়েনি।
এমএএস’র ওয়েবসাইট, ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ.মালয়েশিয়ানএয়ারলাইন্স.কম, খোলার পর টপ হ্যাট, কোট ও এক চোখে মনোকল পরা একটি গিরগিটির ছবি দেখতে পাওয়া যায়। এর চারপাশে বার্তায় ‘৪০৪- বিমান পাওয়া যায়নি’ এবং ‘হ্যাকড বাই লিজার্ড স্কোয়াড-দাপ্তরিক সাইবার খিলাফত’ লেখা দেখতে পাওয়া যায়। একটি র্যা প সংগীতও শুনতে পাওয়া যায়।
এক বিবৃতিতে এমএএস জানিয়েছে, ওয়েবসাইটটি হ্যাক হয়নি, ব্যবহারকারীদের হ্যাকারদের ওয়েবাসাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
পরবর্তী ২২ ঘণ্টার মধ্যে দাপ্তরিক ওয়েবসাইটটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মালয়েশীয় এয়ারলাইন্স ক্রেতা ও ভোক্তাদের নিশ্চিত করছে যে ওয়েবসাইটটি হ্যাক হয়নি, আর সাময়িক এই বিপত্তিতে তাদের বুকিং ও ব্যবহারিক তথ্যগুলো নিরাপদ আছে।”
কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়া ওয়েবসাইটটিতে “আইএসআইএস আরো শক্তিশালী হবে” লেখা ছিল, পরে আর স্লোগানটি দেখা যায়নি।
২০১৪ সালে মালয়েশীয় এয়ারলাইন্স দুটি বিমান হারায়। মার্চে ২৩৯ জন আরোহীসহ ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ একেবারে নিখোঁজ হয়ে যায়, যার খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। অপরটি এমএইচ১৭ পূর্ব ইউক্রেইনের বিদ্রোহ কবলিত এলাকার আকাশে ১৭ জুলাই গোলার আঘাতে বিধ্বস্ত হলে ২৯৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।
ওই বছরের শেষ দিকে এয়ারলাইন্সটিকে ব্যক্তিগত খাতে ছেড়ে দেয় মালয়েশীয় সরকার।