স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে শুক্রবার বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির কোনায়া শহরে এক ছাত্র সমাবেশে ক্ষমতাসীন একে পার্টির সমালোচনা করলে বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই কিশোরের চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগুলু এই গ্রেপ্তারের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, প্রেসিডেন্টের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা প্রয়োজন।
তুরস্কের আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের প্রতি কটূক্তি বা অসম্মান প্রদর্শন অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
১৯২০-এর দশকে ইসলামপন্থিদের হাতে নিহত এক তুর্কি সেনার স্মরণে আয়োজিত সমাবেশে ওই কিশোর বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তার সেই বক্তব্যের ভিডিও দোগান সংবাদ সংস্থা সম্প্রচার করে।
ওই কিশোর তার বক্তব্যে ধর্মনিরপেক্ষতা ও আধুনিক তুরস্কের স্থপতি মুস্তাফা কামাল আতাতুর্কের নীতির প্রতি সমর্থন জানান।
তিনি দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির প্রতি ইঙ্গিত করেন। এ সময় সমাবেশ থেকে ‘সর্বত্র ঘুষ, সর্বত্র দুর্নীতি’ বলে স্লোগান ওঠে।
আইন কর্মকর্তাদের ওই কিশোর বলেন, “আমি ওই বক্তব্যে প্রশ্ন করেছি, কাউকে হেয় করিনি।”
ওই কিশোর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার আইনজীবীরা এই অভিযোগের বিরুদ্ধে একটি আপিল করেছেন।
কিশোর গ্রেপ্তারের এই ঘটনা এরদোগানের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। দেশটির বিরোধীদলীয় সিএইচপি পার্টির সদস্য আত্তিলা কার্ট বলেন, “প্রেসিডেন্ট ভয়, নির্যাতন ও হুমকির” পরিবেশ সৃষ্টি করছেন।
চলতি বছরের অগাস্টে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এরদোগান। এরআগে ১১ বছর তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে।