সন্ত্রাস দমনে বিশেষ আদালত গড়ছে পাকিস্তান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ সন্ত্রাস দমনে বিশেষ কয়েকটি আদালত স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন।সন্ত্রাসী তৎপরতায় দেশটিতে এরই মধ্যে ৫০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

>>আইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2014, 01:07 PM
Updated : 25 Dec 2014, 01:34 PM

বুধবার রাতে টেলিভিশনে এক বক্তব্য শরীফ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সন্ত্রাস-সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর শুনানি করতে ২ বছরের জন্য বিশেষ আদালত গড়তে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এ বিশেষ আদালতগুলো সামরিক আদালত হবে বলে জানান তিনি।

“বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ বিশেষ আদালত পরিচালিত হবে”, বলেন শরীফ।

আগামী দুই বছর সেনাবাহিনী আদালত পরিচালনা করবে জানিয়ে তিনি বলেন, “পেশোয়ারের ঘটনা পাকিস্তানকে বদলে দিয়েছে। উগ্রপন্থাকে সমূলে উৎপাটন করতে আমাদের সন্ত্রাস নির্মূল করা উচিত”।

শরীফের ঊদ্ধৃতি দিয়ে জিও নিউজ বলেছে, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া আমার দায়িত্ব”। জোরালো বক্তব্যের একটি বার্তায় তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের দিন হাতে গোনা।সন্ত্রাসীদের তহবিল সরবরাহের সব পথ বন্ধ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, সঠিক নিবন্ধন ছাড়া মাদ্রাসাগুলোর কাজকর্ম চলতে দেয়া হবে না। টিভি চ্যানেলগুলোতে সন্ত্রাসীদের খবর প্রচার করতে দেয়া হবে। সেইসঙ্গে স্যেশাল মিডিয়া থেকে সন্ত্রাসীদেরকে নির্মূল করার চেষ্টাও চলবে।

গত সপ্তাহে পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে বড় ধরনের তালেবান হামলার পর এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার।

টিভি ভাষণে শরীফ বলেন, উগ্রবাদ দূর করতে জোরালো ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। হামলার নেপথ্যে যারা ছিল তাদেরকে কোনোরকম দয়া দেখানো হবে না।

বিশেষ আদালত গড়ার পাশাপাশি বিশেষ একটি সন্ত্রাস-বিরোধী বাহিনী গঠনের পরিকল্পনাও জানিয়েছেন শরীফ।

গত ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পেশোয়ারে সামরিক বাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে তালেবান জঙ্গি হামলায় ১৩২ শিশুসহ অন্তত ১৪১ জন নিহত হয়।

হামলার দায় স্বীকার করে তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেনাবাহিনী যেভাবে আমাদের প্রিয়জনদের ওপর হামলা চালিয়েছে, আমরাও তাদের প্রিয়জনদের ওপর হামলা চালিয়েছি। প্রিয়জন হারানোর ব্যথা তারাও বুঝুক।