যুক্তরাষ্ট্রে আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

নিউ ইয়র্কে দুই পুলিশ নিহত হওয়ার একদিন পরই যুক্তরাষ্ট্রে আরও এক পুলিশ নিহত হয়েছেন।

>> আইএএনএসবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2014, 07:45 AM
Updated : 22 Dec 2014, 07:45 AM

ফ্লোরিডার থাম্পা থেকে ২০ মাইল উত্তরে থার্পোন স্প্রিং শহরে এই ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

পাইনলাস কাউন্টির শেরিফ কার্যালয় থেকে নিহত পুলিশের নাম চার্লস কোনডেক বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে ২৪ বছর বয়স্ক আন্টোনিও পারিল্লা জুনিয়র নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ডব্লিউটিএসপি টেলিভিশন জানিয়েছে, পাঁচ সন্তানের জনক ৪৫ বছর বয়সী কোনডেক গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, কেউ একজন তার বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ছে এবং সমস্যার সৃষ্টি করছে। এ সময় তিনি সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নামও বলেছিলেন।

অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে আন্টোনিও পারিল্লা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে পুলিশ কর্মকর্তা কোনডেককে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরআগে শনিবার অতর্কিত হামলায় নিউ ইয়র্কের দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করে এক বন্দুকধারী। এ হামলার পর সে নিজেও আত্মহত্যা করে।

শনিবার নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন এলাকার বেডফোর্ড-স্টুয়িভিনসেন্ট সেকশনে নিজেদের গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় অতর্কিত হামলার শিকার হন ওই পুলিশ কর্মকর্তারা, এক সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশ কমিশনার উইলিয়াম ব্রাটন।

নিহত কর্মকর্তাদের নাম রাফেল রামোস (৪০) ও ওয়েনজিয়ান লিউ (৩২) বলে জানিয়েছে তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি পোস্ট থেকে ধারণা করা হচ্ছে, নিউ ইয়র্কের স্টাটেন আইল্যান্ডে গ্রেপ্তারের সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ এরিক গার্নারের মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে পুলিশের উপর এ হামলাটি চালানো হয়েছে।

বন্দুকধারী হামলাকারী ২৮ বছর বয়সি ও তার নাম ইসমাইল ব্রিন্সলে বলে জানিয়েছেন ব্রাটন।

তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের গাড়িটির সামনের প্যাসেঞ্জার আসনের পাশের জানালা দিয়ে সামনে বসা দুই কর্মকর্তাকে রূপালি রংয়ের আধা-স্বয়ংক্রিয় একটি পিস্তল দিয়ে গুলি করেন ব্রিন্সলে, এরপর কাছের একটি সাবওয়ে স্টেশনে দৌড়ে গিয়ে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের সম্পর্কের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তিনি।

গার্নারের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক সাদা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আনার আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক জুড়ে ব্যাপক গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল।

এই নিয়ে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিল নিউ ইয়র্ক পুলিশ।