এদিকে দেশটির ফয়সালাবাদ জেলা কারাগারে রোববার রাতেই চার আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যারা সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
এই চারজন হলেন- জুবাইর আহমেদ, রশিদ কুরেশি, গুলাম সারোয়ার ভাত্তি এবং আখলাক আহমেদ নামের এক রুশ নাগরিক। কয়েক বছর আগে সামরিক আদালতে তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে।
গত ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে তালেবান হামলায় ১৪১ জন শিক্ষার্থীসহ প্রায় দেড়শ মানুষ নিহত হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
এর তিন দিনের মাথায় রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদরদপ্তরে হামলা ও পারভেজ মোশাররফকে হত্যাচেষ্টার দায়ে ড. উসমান ওরফে আকিল এবং আরশাদ মেহমুদ নামের দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
গত ছয় বছরে জঙ্গি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে অন্তত আট হাজার আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় হলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের ফাঁসি কার্যকর করেনি পাকিস্তান।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ছয়জনের বাইরেও আরো অন্তত ৫৫ জঙ্গির ক্ষমাভিক্ষার আবেদন ২০১২ সাল থেকে ঝুলে ছিল। আন্তর্জাতিক চাপের ভয়েই তখনকার প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ওই ৫৫ জনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি বলে ধারণা করা হয়।
এখন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এর ফয়সালা হয়ে যাবে এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কোনো বাধা থাকবে না বলে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা মনে করছেন।
সাধারণত কারো প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রেসিডেন্ট প্রত্যাখ্যান করলে পাকিস্তানের নিয়মে তার দণ্ড কার্যকরে ১৪ দিন সময় লাগে। তবে পাঞ্জাব রাজ্য সরকার সম্প্রতি তাদের আইন সংশোধন করে এই সময় দুই দিনে নামিয়ে এনেছে। এছাড়া ভোর ৪টায় ফাঁসি কার্যকরের আগের বিধানও তারা সংশোধন করেছে, ফলে এখন দিনের যে কোনো সময় দণ্ড কার্যকর করা যাবে।
কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা সর্বোচ্চ সাজার রায়গুলোতে সবচেয়ে বেশি আসামি রয়েছে এই পাঞ্জাব রাজ্যেই।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসির আলী খান এর আগে জানিয়েছিলেন,পাঁচশর বেশি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গির রায় সরকার শিগগিরই কার্যকর করবে।