এ হামলার পর সে নিজেও আত্মহত্যা করে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
শনিবার নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন এলাকার বেডফোর্ড-স্টুয়িভিনসেন্ট সেকশনে নিজেদের গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় অতর্কিত হামলার শিকার হন ওই পুলিশ কর্মকর্তারা, এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার উইলিয়াম ব্রাটন।
নিহত কর্মকর্তাদের নাম রাফেল রামোস (৪০) ও ওয়েনজিয়ান লিউ (৩২) বলে জানিয়েছে তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল দ্য ব্লাসিয়ো উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি পোস্ট থেকে ধারণা করা হচ্ছে, নিউ ইয়র্কের স্টাটেন আইল্যান্ডে গ্রেপ্তারের সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ এরিক গার্নারের মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে পুলিশের উপর এ হামলাটি চালানো হয়েছে।
মেয়র দ্য ব্লাসিয়ো বলেছেন, “যদিও আমরা ঘটনাটির বিস্তারিত উদঘাটনের পর্যায়ে রয়েছি, তারপরও এটি পরিষ্কার যে এটি একটি পূ্র্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, শাস্তি দেয়ার কায়দায় নিহত কর্মকর্তাদের গুলি করা হয়েছে।”
বন্দুকধারী হামলাকারী ২৮ বছর বয়সি ও তার নাম ইসমাইল ব্রিন্সলে বলে জানিয়েছেন ব্রাটন।
তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের গাড়িটির সামনের প্যাসেঞ্জার আসনের পাশের জানালা দিয়ে সামনে বসা দুই কর্মকর্তাকে রূপালি রংয়ের আধা-স্বয়ংক্রিয় একটি পিস্তল দিয়ে গুলি করেন ব্রিন্সলে, এরপর কাছের একটি সাবওয়ে স্টেশনে দৌড়ে গিয়ে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের সম্পর্কের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তিনি।
গার্নারের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক সাদা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আনার আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক জুড়ে ব্যাপক গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল।
এই নিয়ে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিল নিউ ইয়র্ক পুলিশ।
এই পোস্টটির কারণে গার্নারের মৃত্যু নিয়ে সৃষ্ট ক্ষোভের সঙ্গে ব্রিন্সলে সম্পর্কিত ছিলেন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
ব্রিন্সলের এই পোস্টে এরিক গার্নার ও মিজৌরির ফার্গুসনে সাদা পুলিশের গুলিতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রা্উনের নামের পাশে হ্যাশট্যাগ দেয়া ছিল।
ব্রাউনের ঘটনায়ও গত মাসে সাদা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আনার আদালতের সিদ্ধান্তে মিজৌরিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। পরে গার্নারের মৃত্যুর বিষয়ে আদালতের একই ধরনের সিদ্ধান্তে নিউ ইয়র্কসহ পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আদলতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল।
এই বিক্ষোভের সঙ্গে ব্রিন্সলের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে কমিশনার ব্রাটন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।