ভারতে চক্ষু শিবিরে গিয়ে দৃষ্টিহীন আরো ১০ জন

পাঞ্জাব প্রদেশের পর এবার ভারতের হিমাচল প্রদেশে বিনামূল্যের চক্ষু চিকিৎসা শিবিরে চিকিৎসা নেওয়ার পর দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন অন্তত ১০ হতভাগ্য।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2014, 07:25 AM
Updated : 20 Dec 2014, 07:40 AM

এ ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচলের কাঙড়া জেলায়, শনিবার জানিয়েছে এনডিটিভি।

গত মাসে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে একই ধরনের একটি ঘটনায় দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে অন্ধ হয়েছিলেন অন্তত ১৪ জন।

প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে হিমাচেলের নুরপুর জেলার কান্দওয়াল গ্রামে স্থাপিত একটি বিনামূল্যের চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিতে যায় পাঞ্জাবের পাঠানকোট ও হিমাচল প্রদেশের ৬০ ব্যক্তি।

অস্ত্রোপচারের ব্যান্ডেজ খোলার পর এদের অধিকাংশই চোখ কিছুটা জ্বালা করছে জানালেও অন্তত ১০ জন চোখে কিছু দেখতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন।

কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ঘোরাঘুরির পর ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার কাছে যেয়ে সমস্যা তুলে ধরেন। যে ক্লিনিকের চিকিৎসকরা বিনামূল্যে ওই অস্ত্রোপচারগুলো করেছিলেন শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে সেই ক্লিনিকের এক প্রতিবাদের আয়োজন করেন ওই নেতা।

এখানে শিবিরে চিকিৎসার পর অন্ধ হয়ে যাওয়া রঘুবির সিং বলেন, “আগে আমি ঝাপসা হলেও চোখে কিছু দেখতে পেতাম, কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর আমি পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছি। সাহায্যের জন্য কত জায়গায় গেলাম, কিন্তু গরিবদের কথা কেউ শোনে না। আমরা ওই চিকিৎসকদের শাস্তি চাই।”

গুরুদাসপুরের ঘটনায় অস্ত্রোপচারকারী জলন্ধরের বিদ্যা আই কেয়ারের চিকিৎসক বিবেক অরোরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং যে হাসপাতালে শিবিরটি স্থাপন করা হয়েছিল সেটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রি প্রকাশ সিং বাদল ওই ঘটনার পূর্ন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

শিবিরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ঠিকমতো পরিষ্কার না করারণ কারণে এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।