শনিবার অস্ট্রেলীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ওই নারী মানসিকভাবে সুস্থ্য আছেন এবং তিনি তদন্তকারীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন।
তার বিরুদ্ধে এখনও কোনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
কেয়ার্নসের একটি বাড়ি থেকে ছুরিকাঘাতে আহত এই নারীকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ, সেই বাড়ি তল্লাশিকালে নিহত আট শিশুর লাশ পাওয়া যায়।
১৮ মাস থেকে শুরু করে ১৪ বছর বয়সী নিহত এসব শিশুর সাতজন গ্রেপ্তার নারীর সন্তান, নিহত অপর শিশু তার বোনের মেয়ে।
ওই নারীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেয়ার্নসের গোয়েন্দা কর্মকর্তা ব্রুনো অসনিকার বলেছেন, “নিহত শিশুদের বেশ কয়েকজনের ৩৭ বছর বয়সী মা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। রাতে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সে কেয়ার্নস বেইস হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় আছে।
“এই পর্যায়ে আমরা অন্য আর কাউকে খুঁজছি না। এলাকার অন্যান্যরা নিরাপদ আছেন- এতে আমরা স্বস্তি বোধ করছি,” বলেছেন তিনি।
শিশুদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তাদের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি ছুরিসহ বেশ কয়েকটি অস্ত্র পেয়েছে পুলিশ, সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তার বয়স প্রথমে ৩৪ বছর বলা হলেও পরে তা সংশোধন করে ৩৭ বছর বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ওই নারীর ২০ বছর বয়সী ছেলে বাড়িতে উপস্থিত হলে শিশু হত্যাকাণ্ডের খবর জানা যায় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নিহত শিশুদের জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় মোমবাতির আলোয় শোক শোভাযাত্রা ও গির্জায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডকে “বর্ণনার অযোগ্য অপরাধ” বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট।
পুলিশি অভিযানে জিম্মিকারী ও দুজন জিম্মি নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে সিডনির জিম্মি সঙ্কটের অবসান হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটল।