রোববার উত্তরাঞ্চলীয় গুমসুরি গ্রামে হানা দিয়ে অপহরণকালে আরো ৩৫ জনকে হত্যা করে জঙ্গিগোষ্ঠিটি, বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দারা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠি এ ঘটনার দায় স্বীকার না করলেও ঘটনার ধরনে বোকো হারামই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে এপ্রিলে গুমসুরি থেকে মাত্র ২৪ কিমি দূরের চিবোকের একটি মাধ্যমিক স্কুলে হানা দিয়ে ২০০’শরও বেশি স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল বোকো হারাম।
হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া গ্রামবাসী আব্বাস মুসার হিসাবে অপহৃত নারী ও শিশুর সংখ্যা ১৭২ জন।
তিনি জানান, হামলাকারীরা “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি দিয়ে এলোপাতাড়ি ব্যাপক গুলিবর্ষণ শুরু করে।
টেলিফোনে তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “যাদের ধরে নিয়ে গেছে তাদের মধ্যে আমার বোন ও তার সাত শিশু সন্তানও আছে। আমরা জঙ্গলে পালিয়ে রক্ষা পাই। হামলায় সময় অনেকেই পালাতে পারেননি।”
অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
হামলার সময় গ্রামের বাইরে ছিলেন মানিয়া চিবুক। হামলার খবর পেয়ে ফিরে আসেন তিনি।
তিনি জানিয়েছে, খোলা পিকআপে করে অপহৃতদের নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
নাইজেরিয়া সরকারের মুখপাত্র মাইক ওমেরি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সম্পূর্ণ অগ্রহযোগ্য এই ঘটনায় সরকার চরম ক্ষুব্ধ ও গভীরভাবে দুঃখিত। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছড়ানোর জন্য বোকো হারাম অনবরত কাপুরুষের মতো বেসামরিক জনতাকে লক্ষ্যস্থল করে।”
তিনি নিহতের সংখ্যা ১৭ হবে বলে উল্লেখ করেন, অপহৃতদের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
বোকো হারামের বিদ্রোহ কবলিত নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় হামলার খবরগুলো প্রায়ই দেরিতে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।