যুক্তরাষ্ট্র-কিউবাকে স্বাগত জানাল বিশ্ব

৫০ বছরেরও বেশি সময় পর বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার কূটনৈতিক সম্পর্কের পথে আগানোর ঐতিহাসিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2014, 11:43 AM
Updated : 18 Dec 2014, 11:43 AM

যে চুক্তির আওতায় দু’দেশ বন্দিমিনিময় করে আজ একে অপরের সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরুর পট প্রস্তুত করেছে তার প্রশংসা করেছেন ল্যাটিন আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোর নেতারা। তাদের সঙ্গে কন্ঠ মিলিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিও।

সম্পর্কের সব জটিলতা জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সৎসাহসের জন্য ফ্রান্সিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পাশাপাশি কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোকেও ‘ঊষ্ণ অভিনন্দন’ জানান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নও এ পদক্ষেপকে এক ‘ঐতিহাসিক মোড় পরিবর্তন’ বলে বর্ণনা করেছে। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনায় ল্যাটিন আমেরিকা সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতারা কিউবা-যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অধ্যায়ের সূচনার খবরে হাততালি দিয়ে আনন্দমুখর হয়ে ওঠেন।

চিলির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেরাল্ডো মুনোজ এ উদ্যোগকে ‘আমেরিকানদের স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের সূচনা বলে’ অভিহিত করেছেন।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, ‘এ এক নৈতিক জয়’, ‘এ জয় ফিদেল কাস্ত্রোর’।

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, “ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার আদান-প্রদান বাড়লে দেশটির জনগণের জন্য বাস্তবমুখী ও দীর্ঘস্থায়ী নানা সংস্কারের পথ খুলে যাবে”। এ প্রচেষ্টায় আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোরও সামিল হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টেফেন হার্পার যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার উদ্যেগকে ‘বহুপ্রতিক্ষীত অগ্রযাত্রা’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন।

তবে উদ্যোগটি বিশ্বব্যাপী এমন ভূয়সী প্রশংসা কুড়ালেও সবাই এতে খুশী নয়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ভিন্নমতাবলম্বী কিউবানরা এ উদ্যোগে নাখোশ হয়েছে। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকানরাও এ পদক্ষেপের ঘোর বিরোধিতা করছে।