পাকিস্তান তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানির একটি বিবৃতিসহ এসব ছবি বুধবার ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয় বলে ভারতের এনডিটিভি, যুক্তরাজ্যের ইনডিপেন্ডেন্টসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়।
একটি ছবিতে দেখা যায়, আরবিতে কলেমা লেখা সাদা একটি ব্যানারের সামনে ভারী অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে সাতজন।
মঙ্গলবার সকালে পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ওই ছবি তোলা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, একে ৪৭ রাইফেল, এমপি ৫ সাব মেশিনগান, পিকেএম মেশিনগান, স্টেয়ার অ্যাসল্ট রাইফেল ও রকেট লঞ্চার হাতে ক্যামেরার সামনে পাঁচ তালেবান।
জঙ্গি দমনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অভিযানের প্রতিশোধ নিতেই স্কুলে হামলা চালানো হয় বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছিল পাকিস্তান তালেবান। বুধবারের ইমেইলেও একই কথা বলেছেন খোরাসানি।
স্কুলটিতে ঢোকার সময় খুনিরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পোশাকে ছিল। ওই পোশাক পরা ছবিও প্রকাশ করেছে তালেবান।
বার্তায় তালেবান মুখপাত্র খোরাসানি এ ধরনের আরো হামলা চালানোর হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের সেনাবাহিনী পরিচালিত সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের সেবা নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বার্তায় তিনি বলেন, “আমরা এখনো বড় ধরনের হামলা চালাতে সক্ষম। এটা (স্কুলে হামলা) ছিল তারই নমুনা।”
পাকিস্তানের মুসলমানদের সেনানিয়ন্ত্রিত এলাকায় না যাওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে বার্তায়। এতে বলা হয়, সেনা স্কুলের শিক্ষার্থীরা দেশজুড়ে তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের বাবা-ভাইদের দেখানো পথই অনুসরণ করেছে।