‘দুর্বল’ হচ্ছে এইচআইভি

প্রাণঘাতী এইডস রোগের ভাইরাস এইচআইভির সংক্রমণ ও এর সংহারী ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে আসছে বলে এক গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2014, 05:41 AM
Updated : 2 Dec 2014, 05:41 AM

আফ্রিকার দুই হাজার নারীর ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, এ ভাইরাস দ্রুত বিবর্তিত হচ্ছে। মানুষের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে যাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে এইচআইভি সংক্রমণের পর এইডসে আক্রান্ত হতে আরো বেশি সময় লাগছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধারা অব্যাহত থাকলে এক সময় মানব দেহের ক্ষতি করার ক্ষমতা এ ভাইরাস অনেকটাই হারিয়ে ফেলবে বলে গবেষকরা আশা করছেন। 

তিন দশক আগে এইডসের বিস্তার শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত চার কোটির বেশি মানুষ এ রোগে মারা গেছেন। বিশ্বের সাড়ে তিন কোটি মানুষ নিজেদের শরীরে এইচআইভি বহন করছেন। তবে তাদের সবাই এইডসে আক্রান্ত নন।

এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে শুরু হয় লড়াই।  আর তাতে এইচআইভি জয়ী হলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলে অন্য কোনো সংক্রামক রোগ সামাল দেওয়ার সক্ষমতা শরীরের থাকে না। এই অবস্থার নামই এইডস, যা শেষ পর্যন্ত রোগীকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে গবেষক দল প্রধান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিলিপ গোল্ডার বলেন, “মোটের উপর বলা যায়, আমরা এইচআইভির দ্রুত এইডস সৃষ্টির সামর্থ্য কমিয়ে দিতে পেরেছি। তবে এইচআইভি তার ক্ষমতা হারিয়েছে এটা বলা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।”
“এটি এখনো একটি ভাইরাস, যাকে নিজের শরীরে রাখতে চাইবেন না,” বলেন ফিলিপ।

সোমবার বিশ্বব্যাপী এইডস সচেতনতা ও প্রতিরোধের নিযুক্ত কর্মীরা জানান, এবারই প্রথম নতুন করে এইচআইভিতে আক্রান্তের সংখ্যা এইডসের চিকিৎসা নিতে আসা নতুন রোগীর সংখ্যার তুলনায় কমেছে। এইডসে মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে তারা মনে করছেন। 

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এই গবেষণা প্রবন্ধটি সোমবার ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।