ইবোলা ছড়ানোর মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে: জাতিসংঘ

বিশ্বের অন্যান্য দেশেও প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার তীব্র ঝুঁকি এখনো বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের ইবোলা মিশনের প্রধান টনি ব্যানবুরি সিয়েরা লিয়নের রাজধানী ফ্রিটাউনে বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন।

অক্টোবরে ব্যানবুরি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছিলেন, ইবোলা মহামারি ঠেকানো গেলে ডিসেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ আক্রান্তকে চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে এবং এই মহামারিতে নিহত ৭০ শতাংশ নিহতের সৎকার করা যাবে।

এ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিলো ইবোলা মহামারি কমানোর উদ্দেশ্যেই। জাতিসংঘের চূড়ান্ত লক্ষ্য ইবোলা সংক্রমণে নিহতের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা।

ব্যানবুরা বলেন, গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাছাকাছি গেলেও ফ্রিটাউন এবং পোর্ট লোকোর মত বেশ কিছু এলাকায় তা এখনো সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রকাশিত ২৯ নভেম্বরের হিসাবমতে,পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা সংক্রমণে অন্তত ৭ হাজার মানুষ নিহত এবং ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষ এ ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছে।

এখনো প্রতি সপ্তাহেই ২ থেকে ৩শ’ মানুষ মারা যাচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়ায়।

তবে ব্যানবুরি বলেছেন, জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি আরো মারাত্মক আকার ধারণ করত।

তিনি আরো বলেন, “জাতিসংঘের এ হস্তক্ষেপের পরও বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা বা ইউরোপে ইবোলা ছড়িয়ে পড়ার মারাত্মক ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে। আর একারণেই যত দ্রুত সম্ভব ইবোলা সংক্রমণে নিহতের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি”।