শুক্রবার জুমার নামাজ শুরু হওয়ার পর হামলাটি চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এনডিটিভি জানিয়েছে, দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলা ও বন্দুকধারীদের গুলিবর্ষণে অন্ততপক্ষে ১২০ জন নিহত ও আরো ২৭০ জন আহত হয়েছেন।
বিবিসি’র কাছে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা ৪০০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করলেও সংবাদ সংস্থাটি এই সংখ্যা কয়েক ডজন বলে উল্লেখ করেছে।
নাইজেরিয়ার ইসলামপন্থি বিদ্রোহী জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম হামলাটি চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলার সময় ঐতিহ্যবাহী মসজিদটির প্রাঙ্গণ নামাজ আদায়ের জন্য আসা মসুল্লিতে পূর্ণ ছিল।
“তারা মসজিদে বোমা হামলা চালিয়েছে। আমার সামনেই আহত লোকজন চিৎকার করছিল,” বলেছেন স্থানীয় সাংবাদিক চিজানি উসমান।
নাইজেরিয়ার মুসলিম ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের দ্বিতীয় প্রধান কানোর আমির লামিদো সানুসি’র প্রাসাদের পাশেই মসজিদটির অবস্থান। সানুসি বোকো হারাম গোষ্ঠীর একজন কড়া সমালোচক।
তবে হামলার সময় নাইজেরীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এই প্রধান মসজিদে ছিলেন না।
আমিরের প্রাসাদের এক কর্মী রয়টার্সকে বলেছেন, “কয়েকটি বিস্ফোরণের পর হামলাকারীরা গুলিবর্ষণও করেছে। হতাহতের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না, কারণ আমরা সবাই দৌড়ে পালিয়ে এসেছি।”
হামলার পর পুলিশ এলে উত্তেজিত তরুণরা মসজিদের ফটক আটকে ঘটনাস্থলে প্রবেশে পুলিশকে বাধা দেয়। পরে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ মসজিদে প্রবেশের পথ করে নেয়।
রয়টার্সের সাংবাদিক দুটি মর্গ পরিদর্শন করে একটিতে ২০টি লাশ ও অপরটিতে ৬১টি লাশ দেখতে পেয়েছেন। মর্গ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলিও সংখ্যাটি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের শরীরে বিস্ফোরণ ও গুলির আঘাত আছে বলে জানিয়েছেন আলি।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন এক বিবৃতিতে “সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আটক করে বিচার নিশ্চিত করা হবে” বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উত্তর নাইজেরিয়ায় ইসলামি শরিয়াভিত্তিক খলিফা শাসনের জন্য লড়াইরত বোকো হারাম নাইজেরিয়ার ঐতিহ্যবাহী মুসলিম ধর্মীয় কর্তৃপক্ষকে স্বীকার করে না।
ছয় বছর ধরে বোকো হারামের বিদ্রোহী-জঙ্গিরা গোষ্ঠীটির কট্টর ধারা মেনে না চলা বেশ কয়েকটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে।