ক্যামেরন বলেন, ইইউ ভূক্ত দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের ‘ট্যাক্স ক্রেডিট’ বা ‘কাউন্সিল হাউজে’র মতো সুবিধাগুলো পেতে অন্তত চার বছর অপেক্ষা করতে হবে।
আসন্ন নির্বাচনে আবারো নির্বাচিত হতে পারলে এ পরিকল্পনা সফল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ক্যামেরন। সেইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের ইইউ’র সঙ্গে থাকা না থাকার বিষয়টিও এই পরিকল্পনার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করবে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যে অভিবাসীর সংখ্যা আবারো বাড়তে শুরু করেছে এবং এ বছর দেশটিতে অভিবাসীর সংখ্যা ২০১০ সালকেও ছাড়িয়ে গেছে।
পশ্চিম মিডল্যান্ডে এক সমাবেশে অভিবাসীদের বিষয়ে এ পরিকল্পনার কথা জানান ক্যামেরন।
আগামী বছর মে মাসে যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণার অংশ হিসেবে ক্যামেরন এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
২০১৫ সালের নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত বিভিন্ন মতামত জরিপে দেখা গেছে ভোটাররা অভিবাসীদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। এ ব্যাপারে কঠোর নীতি গ্রহণের চাপ রয়েছে ক্যামেরনের ওপর।
ইইউ-বিরোধী ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। এ মাসে সংসদে দ্বিতীয় আসন দখল করেছে অ্যান্টি-ইইউ ইউকে ইন্ডিফেনডেন্স পার্টি।
ইইউ অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে আরো যেসব প্রস্তাব ক্যামেরনের রয়েছে সেগুলো হল:
১. ইইউ অভিবাসীদের চাকরিকালীন সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা।
২. অভিবাসীদের শিশুদের জন্য দেয়া সুবিধা এবং তাদের যেসব শিশু যুক্তরাজ্যের বাইরে বসবাস করে তাদের জন্য ট্যাক্স ক্রেডিট সুবিধা বন্ধ করা।
৩. ছয় মাসের মধ্যে কাজ যোগাড় করতে না পারা অভিবাসীদের যুক্তরাজ্য থেকে বের করে দেয়া
৪. পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নেয়ার ক্ষেত্রে আরো কড়াকড়ি আরোপ।
৫. অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের যত দ্রুত সম্ভব নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।
৬. ভিক্ষুকদের দীর্ঘদিন পর যুক্তরাজ্য পুনরায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং জালিয়াতদের যুক্তরাজ্য থেকে বের করে দেয়া।
৭. নতুন করে ইইউ এর অন্তর্ভূক্ত হওয়া দেশের নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে কাজের খোঁজে প্রবেশে বাধা দেয়া। যতদিন পর্যন্ত ওই সব দেশের অর্থনীতি ইইউ’র অন্যান্য দেশগুলোর অর্থনীতির মতো শক্তিশালী না হয়।
গত এক দশকে ইইউ ভূক্ত দেশগুলো থেকে আগত অভিবাসীদের ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের জনগণ সচেতন হয়েছে এবং এই পরিবর্তনের কারণে কল্যাণ সুবিধা পাওয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন ক্যামেরন।
“আমাদের এখন কঠোর হওয়ার সময় হয়েছে এবং আমরা কঠোর হব। এটি এমন একটি বিষয় যা ব্রিটিশ জনগণের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং ইইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের ভবিষ্যৎও এর ওপর নির্ভর করছে।”