পরিবারের আপনজনদের সঙ্গে দাওয়াত করা অতিথিরা সবাই মিলে গালপল্পের সঙ্গে চলে টার্কির রোস্টের স্বাদ নেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রে এ ঐতিহ্য মেনেই মজা করে উদযাপিত হয় দিবসটি। আর এতেই ছেদ টেনে দুই টার্কির প্রাণ বাঁচালেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
হোয়াইট হাউসে উপস্থিত লোকজনদের সামনে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে প্রতীকী ক্ষমা ঘোষণা করে ম্যাক এবং চিজ নামের দুই টার্কিকে রেহাই দেন ওবামা।
রসিকতা করে তিনি বলেন, নির্বাহী ক্ষমতাবলে এ মাসে তিনি অভিবাসনের ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন টার্কিকে বাঁচানোর এ পদক্ষেপেও তার ওই নির্বাহী ক্ষমতার বিষয়টি ফের আলোচনায় উঠে আসবে।
থ্যাংক্সগিভিং ডে উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশন থেকে হোয়াইট হাউসে সরবরাহ করা হয় টার্কি। আর প্রেসিডেন্টদের টার্কিকে রেহাই দেয়ার এমন রীতিও চলে আসছে ১৮শ’র দশক থেকে।
১৯৬২ সালে জন এফ কেনেডি প্রথম টার্কিকে প্রাণে বাঁচানোর উদ্যোগ নেন বলে শোনা যায়। পরে রোনাল্ড রিগান ১৯৮৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে টার্কির প্রাণভিক্ষার পদ্ধতি চালু করেন। তারও পরে জর্জ এইচ.ডব্লিউ বুশ এসে চালু করেন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে টার্কির প্রাণ বাঁচানোর রীতি।
২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছে জনগণের ভোটে জেতা টার্কিকে প্রেসিডেন্টের রেহাই দেয়ার রীতি। এবারের ভোটে ৪৯ পাউন্ড ওজনের চিজের কাছে রেহে যায় ৪৭ পাউন্ডের ম্যাক। কিন্তু চিজ জিতলেও প্রথা অনুযায়ী ম্যাককেও রেহাই দেন ওবামা।
টার্কি দুটিকে এখন তাদের জীবনের বাকীদিন কাটানোর জন্য পাঠানো হবে ভার্জিনিয়ার টার্কি খামারে।
থ্যাঙ্ক গিভিং ডে উৎসবের সূচনা হয় ১৬২০ সালের আগস্টে। ধর্ম প্রচারকরা প্রথমবারের মতো স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এ দিবস পালন শুরু করে। এই দিনের পরেরদিন শুক্রবার ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামে পরিচিত। এদিন কেনাকাটার উৎসব শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিপনীবিতানসহ দোকানগুলো এদিনটিতে বিশেষ ছাড়ে তাদের জিনিসপত্র বিক্রি করে।