ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের হাজির করে এই অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “জনগণের নিরাপত্তার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের তাৎক্ষণিকভাবে এক মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিয়েছে।”
এরা হলেন- মিজানুর রহমান পিন্টু (৪২), জলিল বেপারী (৫৫), রশিদ (৪২), বাবু (৩২), কামরুজ্জামান (২৫), জাহিদ (২২), নিয়ামুল হক (২১), খোকন মিয়া (২৩), মোসলেম মোল্লা (৩৫), আলম (২২), মিজানুর (৪২), শরীফুল (৪৮), সানোয়ার (৩৫), রেজাউল (৪০), ওসমান গনি (২৫), লাল মিয়া (৪৫), গিয়াস উদ্দিন (২৫), মামুন (৪০), শহীদ আহমেদ (২৬), ফেরদৌস (২৫), আবু তাহের (২৮), মোকসেদ মোল্লা (৪০), সুমন (২৩), বাবু (১৮), আবদুল কাদের (২৫), সুমন (২৫), মাওলা সরদার (২৮), মো. অলি (১৮), আমিনুল ইসলাম (২৫), জনি (১৯), শাওন আহমেদ (১৮)।
সাধারণ মানুষের কাছে এই প্রতারকদের পরিচয় ‘অজ্ঞান পার্টি’ নামে। কখনো সহযাত্রীর বেশে কৌশলে খাবার বা পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে, কখনো আবার রুমাল শুঁকিয়ে যাত্রীদের অচেতন করে তারা। পরে ‘শিকারের’ সঙ্গে থাকা মূল্যবান মালামাল ও টাকা পয়সা নিয়ে চম্পট দেয়।
মনিরুল ইসলাম বলেন, “তাদের মতো প্রতারকদের কবলে পড়ে অনেকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণও হারিয়েছেন।”
এই ৩১ জনের মধ্যে কয়েকজন আগে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে বলে জানান তিনি।
জলিল বেপারী আগে ১১ বার, মাওলা সাত বার, মনির ওরফে মনু পাঁচ বার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এছাড়া এছাড়া মিজানুর, ওলি, শরিফুল, জাহিদও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক ওষুধসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, মো. মাসুদুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।