‘জলবায়ু পরিবর্তনের কিছু প্রভাব এড়ানো যাবে না’

বিশ্বের সরকারগুলো গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসে দ্রুত উদ্যেগ নিলেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও সাগরতলের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো জলবায়ু পরিবর্তনের কিছু ভবিষ্যৎ প্রভাব এড়ানো যাবে না বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক।

>>রয়টার্স
Published : 24 Nov 2014, 10:37 AM
Updated : 24 Nov 2014, 10:37 AM

রোববার “টার্ন ডাউন দ্য হিট, কনফ্রন্টিং দ্য নিউ ক্লাইমেট নর্মাল” নামক বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

অতীতের এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কারখানা ও গাড়ির অনুমিত নির্গমন শিল্প বিপ্লবের আগের তুলনায় ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির পথে যেতে বাধ্য করছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ সম্পর্কে এক টেলিফোন সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, “এর মানে চরম তাপ প্রবাহের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন কোনোভাবেই এড়ানো যাবে না। এই পর্যবেক্ষণগুলো সতর্ক হওয়ার মতো।”

গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফ ধীরে ধীরে গলার কারণে কয়েক শতাব্দি ধরে সাগরতলের উচ্চতা বাড়তেই থাকবে। যদি বিশ্বের গড় তামপাত্রা বর্তমান পর্যায়ে স্থির থাকে তাহলে আগামী ২,০০০ বছরে সাগরতলের উচ্চতা ২ দশমিক ৩ মিটার (৭ ফুট ৬ ইঞ্চি) বৃদ্ধি পাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই শূন্য দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “জলবায়ুর নাটকীয় পরিবর্তন ও আবহাওয়ার চরমরূপ ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, উপকূল রেখা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং পানির নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।”

আবহাওয়ার চরমরূপের উদাহরণ হিসেবে ইয়ং কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনের সময় অস্ট্রেলিয়ায় নভেম্বরের সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন এবং দুইদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলোতে পাঁচ থেকে ছয় ফুট তুষারপাতের কথা উল্লেখ করেন।

তবে এখনও গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস করার মাধ্যমে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাবগুলো এড়ানো সম্ভব হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।