সোমবার এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
পুলিশ বলেছে, হাত তোলার আদেশ দেয়ার পরও হাত না তোলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা বালকটিকে লক্ষ করে দুটি গুলি করেন। পরে হাসপাতালে বালকটি মারা যায়।
এক ব্যক্তি পুলিশকে ফোন করে জানায়, পিস্তল নিয়ে একটি বালক লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছে, তবে পিস্তলটি আসল কিনা তা সে জানে না বলেও জানায়।
ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা এসে উপস্থিত হন। তাদের মধ্যে একজন দশ বছরের অভিজ্ঞ হলেও অন্যজন স্থানীয় বাহিনীতে তার প্রথম বছর পার করছেন বলে জানা গেছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বালকটিকে তামির রাইস বলে সনাক্ত করেছেন।
ক্লিভল্যান্ডের ডেপুটি পুলিশ প্রধান এড টোম্বা জানিয়েছেন, প্যান্টের বেল্টের ভিতর থেকে পিস্তলটি বের করার পর বালকটিকে দুটি গুলি করা হয়।
বালকটি পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে পিস্তলটি তাক করেনি বা মৌখিক কোনো হুমকিও দেয়নি বলে জানিয়েছেন টোম্বা।
পুলিশ জানিয়েছে, আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তলের মতো দেখতে নিহত বালকের ওই অস্ত্রটি খেলনা “এয়ারসফট” পিস্তল ছিল।
যে ব্যক্তি পুলিশকে ফোন করেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, বালকটি তার প্যান্ট থেকে পিস্তলটি বের করছিল আবার ঢুকিয়ে রাখছিল।
ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিবিসি’র ওয়াশিংটন প্রতিনিধি।