‘পাঁচ বছরে ২০০ পরমাণু অস্ত্র হবে পাকিস্তানের’

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা নিউক্লিয়ার কর্মসূচি পাকিস্তানের এবং ২০২০ সালের মধ্যে ২০০ নিউক্লিয়ার বোমা তৈরির মতো যথেষ্ট উপাদান পাকিস্তানের হাতে থাকবে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2014, 06:00 AM
Updated : 24 Nov 2014, 06:00 AM

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ প্রতিষ্ঠান ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন’ (সিএফআর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানানো হয়েছে।

‘স্ট্র্যাটিজিক স্ট্যাবিলিটি ইন দ্য সেকেন্ড নিউক্লিয়ার এজ’ নামের এই প্রতিবেদনটি জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জর্জ কোবলেন্টৎজ তৈরি করেছেন বলে রোববার জানিয়েছে এনডিটিভি।

এতে বলা হয়েছে, “যদিও অনেক রাষ্ট্র তাদের মজুদ হ্রাস করছে, এশিয়ায় মজুদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল নিউক্লিয়ার কর্মসূচী পাকিস্তানের। ২০২০ সালের মধ্যে, এদের কাছে এতো পরিমাণ ফিশনযোগ্য উপাদান থাকবে, যা দিয়ে অস্ত্র তৈরি করলে, ২০০ নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করতে পারবে।”

নিষ্পত্তি না হওয়া ভূখণ্ডগত বিরোধ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস এবং বাড়তে থাকা নিউক্লিয়ার অস্ত্র, এসব উত্তেজনাকর বিষয়গুলোর মিশ্রণের কারণে প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়াকে “কৌশলগত ভারসাম্য ভেঙে পড়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা” অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিউক্লিয়ার অস্ত্র ব্যবহারের ১১ ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছে বা করার জন্য কাজ করছে। এগুলোর মধ্যে বিমান থেকে ব্যবহারের পন্থা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, “পাকিস্তান কোন পরিস্থিতিতে নিউক্লিয়ার অস্ত্র ব্যবহার করবে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি, তবে প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানের অখণ্ডতার জন্য ভারতের হুমকি হয়ে ওঠার বিষয়টি প্রতিহত করতে বা ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষা করতে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সক্ষম করে তুলতে এ মজুদ গড়ে তোলা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।”

সিআরএফ বলেছে, যদিও পাকিস্তান ভারতীয় হুমকিকেই বড় করে দেখাচ্ছে, এমন কথাও প্রচলিত আছে, পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার অস্ত্র জব্দ করতে বা অকেজো করে দিতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অভিযান চালাতে পারে, এই সম্ভবনায়ও উদ্বিগ্ন হয়ে আছে দেশটি।

“পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার অস্ত্র যেন সন্ত্রাসীদের হাতে চলে না যায়, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কথিত কন্টেনজেন্সি পরিকল্পনা এই উদ্বেগের ভিত্তি” বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সিএফআর’র প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ভারতের কাছে ৯০-১০০টি নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করার মতো ফিশনযোগ্য উপাদান আছে এবং দেশটি এর উৎপাদন ক্ষমতা বিস্তৃত করছে।

ওদিকে, চীনের কাছে যে কেনো সময় ব্যবহার করার মতো ২৫০টি নিউক্লিয়ার অস্ত্রে আছে। এগুলো মধ্যবর্তী পাল্লা থেকে শুরু করে আন্তঃমহাদেশীয় পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমারু বিমান দিয়ে নিক্ষেপ করা যাবে।