পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরোধ নিষ্পত্তি করাই এ চুক্তির লক্ষ্য।
ইরানের ‘স্টুডেন্ট নিউজ এজেন্সি’ আইএসএনএ ভিয়েনা বৈঠকে ইরানের আলোচক দলের এক সদস্যের উদ্ধৃতি দিয়ে রোববার বলেছে, “সময়সীমা শেষের আগে এত অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় ২৪ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছা অসম্ভব”।
ওই সদস্য আরো বলেন, “আলোচনার সময় বাড়ানোর বিকল্প পন্থাও হাতে রাখা হয়েছে। রোববার রাতের মধ্যে কোনো চুক্তি না হলে এটি নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করব”।
মঙ্গলবার ইরানের সঙ্গে চূড়ান্ত দফা আলোচনা শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং চীন। ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে দেশটিকে পরমাণু কর্মসূচি হ্রাস করতে রাজি করানোর জন্য একটি চুক্তি সই করাই এর লক্ষ্য।
ইরান বেসামরিক পামাণবিক কর্মসূচির আড়ালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পশ্চিমাদের। কিন্তু ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ভিয়েনায় আলোচনায় অংশ নেয়া ইরানি ও পশ্চিমা আলোচকরা বলছেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া এ দুটি মূল বিষয় নিয়েই আলোচনায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে।