শনিবার ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর তুলুজে এ ঘটনা ঘটেছে।
“হত্যার ছাড়পত্র বন্ধ করুন” প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ডাস্টবিনে আগুন ধরিয়ে দেয় ও কয়েকটি বাসস্টপ ভাংচুর করে।
পুলিশ বাধা দিতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত মাসে তুলজের নিকটবর্তী জলাভূমিতে বাঁধ নির্মাণ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি হয়। ওই সময় পুলিশের ব্যবহার করা তথাকথিত “অফেন্সিভ গ্রেনেডে” ২১ বছর বয়সী আন্দোলনকারী রেমি ফ্রাইজি নিহত হন।
ঘটনার পর ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নাড ক্যাজেনেভ্যু ওই গ্রেনেডের ব্যবহার বন্ধ করার আদেশ দেন।
প্রায় ৬০০ থেকে এক হাজার প্রতিবাদকারী তুলজে এবং ১২০০ প্রতিবাদকারী পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নানে‘তে বিক্ষোভ করেন। নানে’তে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফ্রাইজি’র নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দের স্যোশালিস্ট সরকারের সঙ্গে দেশটির গ্রিন পার্টির সম্পর্ক নাজুক হয়ে উঠেছে।
সরকারের এক সময়ের শরীক গ্রিন পার্টি অভিযোগ করে বলেছে, ফ্রাইজি নিহতের ঘটনায় সরকারের প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট ছিল না এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাজেনেভ্যু প্রথমে সত্য গোপন করেছিলেন।
পরিবেশ ইস্যুতে সরকারি অবকাঠামো প্রকল্প বিরোধী আন্দোলনের ফলে অনেকগুলো এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন স্থগিত হয়ে গেছে। তুলজের বাঁধের মতো নিনে’তে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনাও স্থগিত করা হয়েছে।