পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে নতুন করে ইবোলায় আক্রান্ত হওয়ার হার কমে এসেছে। তবে মালির ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
মালিতে ইবোলায় আক্রfন্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ছয় জন মারা গেছেন। এছাড়া আরো প্রায় পাঁচশ জনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ওয়াশিংটনে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও), ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং দ্য ইন্টারন্যাশনাল মনেটরি ফান্ড (আইএমএফ) এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বান কি-মুন বলেন, “যদি আমরা ইবোলার বিরুদ্ধে আরো দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত রাখি তবে আমরা এই মহামারীকে রুখতে এবং আগামী বছরের মাঝামাঝির মধ্যে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে সক্ষম হবো।”
যদিও ইবোলাকে রুখতে এখন পর্যন্ত নেয়া আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বান কি-মুন। জোরের সঙ্গে বলেন, ইবোলা আক্রান্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে আরো স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন।
“এর শেষ এখনো অনেক দূর। নতুন করে ইবোলা আক্রান্ত হওয়ার হার অবশ্যই শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। ইবোলা ওই ধরণের রোগ নয় যেটাতে মাত্র কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে এবং এখানে আমরা যথেষ্ট করেছি বলার সুযোগ নেই।”
এদিকে মালির পরিস্থিতি দেখতে শনিবার রাতে সেখানে যাবেন ডব্লিউএইচও এর প্রধান মার্গারেট চ্যান। মালিতে ইবোলা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া রুখতে এরই মধ্যে বিশেষ টাস্কফোর্সের গঠনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ।
পশ্চিম আফ্রিকার তিন দেশ গিনি, সিয়েরা লিওন ও লাইবেরিয়ায় ইবোলা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই তিন দেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ মারা গেছে।
এছাড়া নাইজেরিয়া, মালি, স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্রে ইবোলা রোগী সনাক্ত হয়েছে।
নতুন করে ইবোলা আক্রান্ত হওয়া রুখতে লাইবেরিয়া সরকার দেশটির সবগুলো সমুদ্র সৈকত ২৯ নভেম্বর থেকে বন্ধ করে দিচ্ছে। দেশটি ইবোলা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
লাইবেরিয়া পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, যারা এই আদেশ অমান্য করবে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।