বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাতে বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।
অন্যপ্রাণী থেকে এই জীবাণু মাছিতে প্রবেশ করে। আক্রান্ত সেই মাছির কামড়ে এটি মানবদেহে সংক্রমিত হয়। তখন আক্রান্ত ব্যক্তির গ্রন্থি ফুলে যায়। আর আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে এটি অন্যদের মাঝেও সংক্রমিত হতে থাকে।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটিকে ধরা পড়লে এন্টিবায়োটিকের সাহায্যে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।
কিন্তু মাগাদাস্কারে প্লেগের যে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তার ২ ভাগ আরো মারাত্মক পর্যায়ের। আর এটি কাশির মাধ্যমে অন্যদের সংক্রমিত হতে পারে।
চলতি বছরের অগাস্টে রাজধানী আন্তানানারিভো থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে সিরোআনোমানদিদে জেলার সোয়ামাহাতামানা গ্রামে প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়।
“শহরটির (আন্তানানারিভো) ঘনবসতির কারণে এবং দুর্বল চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।”
তবে এটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে একটি টাস্কফোর্স কাজ করে যাচ্ছে।
প্লেগ একটি প্রাণঘাতী রোগ যা ইরসিনিয়া পেস্টিস নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে বিশ্বের ভয়ংকর প্রাণঘাতী তিনটি রোগের একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।