ইন্দোনেশিয়ায় মুসলিম নারীদের সুন্দরী প্রতিযোগিতা

পশ্চিমা সুন্দরী প্রতিযোগিতাকে টেক্কা দিতে ইন্দোনেশিয়ায় বসেছে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড মুসলিমাহ অ্যাওয়ার্ড’ এর আসর।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2014, 06:25 PM
Updated : 21 Nov 2014, 06:25 PM

শুক্রবারই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বী নারীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। চূড়ান্ত পর্বে ১৮ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী প্রতিযোগীদের মধ্যে রয়েছেন তিউনিশিয়ার কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশেরে একজন চিকিৎসকও।

প্রতিযোগীরা হিজাব পরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া, তারা কতটা ভালোভাবে কুরআন পাঠ করতে পারেন এবং ইসলাম ও আধুনিক বিশ্ব নিয়ে প্রতিযোগীদের দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতেই তাদের মূল্যায়ন করা হবে।

প্রতিযোগিতাটির আয়োজকদের একজন জামেইয়া শরিফ বলেন, “আমরা দেখতে চাই তারা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের নির্দেশিত পথে চলে কি না….. তারা কি খায়, কি পোশাক পরে এমনকি কিভাবে তারা জীবন যাপন করে।”

‘দ্য ওয়ার্ল্ড মুসলিমা অ্যাওয়ার্ড’ প্রতিযোগিতাটি ২০১৩ সালে প্রথম বিশ্ববাসীর নজরে আসে। সেবার ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদস্বরূপ আয়োজকরা বালি দ্বীপে প্রায় একই সময়ে প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করেছিলেন।

নারীদের অসম্মানজনক ভাবে প্রদর্শণের অভিযোগে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা হয়। বিশেষ করে প্রতিযোগীদের বিকিনি পরে বিচারকদের সামনে আসার পর্বটি নিয়ে বিভিন্ন মহলের ঘোরতর আপত্তি রয়েছে।
ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে বালি দ্বীপে সেবারের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা থেকে বিকিনি পরার পর্বটি বাদ দিতে বাধ্য হন আয়োজকরা।

এবারের ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমাহ অ্যাওয়ার্ড’ প্রতিযোগিতাটি শুধু পশ্চিমা বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতাকে টেক্কা দেয়ার জন্যই আয়োজিত হয়নি বরং ইসলাম সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে যে সব কুসংস্কার রয়েছে সেগুলোও দূর করবে বলে মনে করেন চূড়ান্ত পর্বে ওঠা ব্রিটিশ প্রতিযোগী দিনা তুর্কি ।

“আমার মতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এটা দেখানো যে আমরা সত্যিই খুব সাধারণ নারী। আমরা সন্ত্রাসীদের বিয়ে করব না এবং আমাদের মাথায় জড়ানো হিজাব কোন ভয়ঙ্কর কিছু না।”

এটি মুসলিম বিশ্বের নারীদের সুন্দরী প্রতিযোগিতার চতুর্থ আসর। এবার ১৮ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে উঠলেও তাদের সাতজন পরে নাম প্রত্যাহার করে নেন। অন্যদের ভিসা নিয়ে নানা ধরণের জটিলতা পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছতে হয়।

শরিফ জানান, যারা নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাদের বেশির ভাগকেই একা ভ্রমণের অনুমতি দেয়নি তাদের পরিবার।

একা একজন নারী হিজাব পরে ভ্রমণ করছে- এটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে চিন্তায় ফেলে দেয়। যে কারণে ভারতীয় এক প্রতিযোগী তার নির্ধারিত ফ্লাইটে যেতে ব্যর্থ হন। অবশ্য পরে অন্য একটি বিমানে তিনি ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

স্কুল থেকে প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণের অনুমতি না পেয়ে চাকরি ছেড়ে দেন সিঙ্গাপুরের প্রতিযোগী মাস্তুরাহ বিনতে জামিল।

জাভা দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী প্রামবানান মন্দিরের কাছে চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হিন্দুদের মন্দিরের কাছে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাখ্যায় আয়োজকরা বলেন, আমরা দেখাতে চাই মুসলিমরা অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাদরে গ্রহণ করে।
tp-9 এ দিয়ে সোয়াপ টপ৭