গুয়ানতানামো’র ৫ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

কিউবার গুয়ানতানামো বে’র কারগারে আটক ৫ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে কারাগারটিতে আটক প্রথম ইয়েমেনি বন্দিও রয়েছেন।

>>রয়টার্স
Published : 21 Nov 2014, 08:49 AM
Updated : 21 Nov 2014, 08:49 AM

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সশস্ত্র বাহিনী।

মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে তিনজনকে রিপাবলিক অব জর্জিয়া ও অপর দুজনকে স্লোভাকিয়ায় পাঠানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন ইয়েমেনের নাগরিক ও অন্যজন তিউনিসিয়ার নাগরিক।

এই পাঁচজনের মুক্তিতে গুয়ানতানামো কারাগারে আটক বন্দির সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ১৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এই কারাগারটি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ধীরে ধীরে এই কারাগারে আটক বন্দিদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে।

কারাগারটিতে আটক অবশিষ্ট বন্দিদের অধিকাংশই ইয়েমেনের নাগরিক।

২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় ওবামা যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে স্থাপিত বিশেষ এই কারাগারটি তুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই কারাগারের কারণে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

কিন্তু ক্ষমতার দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসেও কারাগারটি তুলে দিতে পারেননি ওবামা। কংগ্রেস সদস্যদের অংশ বিশেষের বাধার ফলে আর অবশিষ্ট কারণ অজ্ঞাত।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনি অধিকার সংস্থা ‘সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস’ (সিসিআর) গুয়ানতানামোতে বন্দি অন্যান্য ইয়েমেনিদের মুক্তি না দেয়ার জন্য ওবামা প্রশাসনের সমালোচনা করেছে।

সিসিআর বলেছে, বন্দি অপর ৮৪ জন ইয়েমেনির মধ্যে ৫৪ জনের বদলির বিষয়টি অনুমোদন করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান বাক ম্যাককেয়ন অবশিষ্ট বন্দিদের “খারাপের মধ্যে আরো খারাপ” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, গুয়ানতানামোর সাবেক বন্দিরা ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে নেয়া জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-এ (আইএস) যোগ দিতে পারে।

১৩ নভেম্বর এই বিষয়ে কংগ্রেসের এক শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চাক হেগেলকে ম্যাককেয়ন বলেছেন, “এই মুক্তি দেয়া অব্যাহত রাখলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের নতুন একটি ফ্রন্ট খুলতে হতে পারে যা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।”

আইএস’র সঙ্গে লড়াই করতে গোষ্ঠীটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিমান হামলাসহ সামরিক অভিযান শুরু করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ওবামা।