৪৭ লাখ অভিবাসী বৈধতা পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে নির্বাহী আদেশে ৪৭ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বৈধ করার ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

রয়টার্স
Published : 21 Nov 2014, 04:33 AM
Updated : 21 Nov 2014, 08:47 AM

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উদ্দেশে ওবামা বলেন, “ছায়া থেকে বেরিয়ে আসুন, বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ নিন।”

মার্কিন পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের বিরোধিতার মধ্যেই ওবামার এই ঘোষণা এলো।

রিপাবলিকানরা বলছে, কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে এই ঘোষণা দেওয়ার এখতিয়ার  প্রেসিডেন্টের নেই। তার এই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে আরো তিক্ত করবে।

বর্তমানে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই অবৈধ অভিবাসীদের একটি অংশকে সরকার দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে, কেননা তাদের একটি বড় অংশের সন্তানরা বৈধ নাগরিক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।

ওবামা তার ভাষণে বলেন, “আজ আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এটা সবাই জানে।.... বছরের পর বছর ধরে এ পরিস্থিতি চলে আসছে। কিন্তু আমরা এ বিষয়ে এ নিয়ে যথেষ্ট কাজ করিনি।”      

তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে ৪৭ লাখ অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি পাবেন, তাদের মধ্যে ৪৪ লাখ বাবা-মাও থাকবেন, যাদের সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ নাগরিক বা বসবাসকারী।  

তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসের আবেদন করতে পারবেন এবং কাজের সুযোগ পাবেন। তবে তারা ভোটাধিকার বা সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ও বীমা সুবিধা পাবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশিদের মধ্যে লাখখানেক বাংলাদেশি আছেন বলে ধারণা করা হয়।

ওবামা তার ভাষণে বলে, তিনি যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাকে কোনোভাবেই ‘সাধারণ ক্ষমা’ মনে করার সুযোগ নেই।

“১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীর সবাইকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার কথা ভাবা বাস্তবসম্মত হবে না। আমার প্রস্তাব সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান ও মধ্যপন্থার অবস্থানে থেকে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা।” 

গত সপ্তাহে মিয়ানমার সফরকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, প্রতিনিধি পরিষদকে তিনি একটি অভিবাসন বিল তৈরির জন্য এক বছর সময় দিয়েও কোনো ফল পাননি।

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ২০১৩ সালে একটি অভিবাসন বিল পাস করলেও প্রতিনিধি পরিষদে তা গৃহীত হয়নি।