এতে বুধবার নিউইয়র্ক রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে ও বহু মানুষ গাড়িতে আটকা পড়েছেন, জানিয়েছে বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
উত্তরাঞ্চলের পুরো গ্রেট লেকস্ এলাকা তুষারঝড়ে কাবু হয়ে পড়েছে। বাফেলো এলাকা ৫ ফুট (১ দশমিক ৫ মিটার) তুষারের নীচে চাপা পড়েছে।
ঝড়ে মৃতদের মধ্যে একজন গাড়ি দুর্ঘটনায়, একজন গাড়িতে আটকা পড়ে ও অপর পাঁচজন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
হাওয়াই ও ফ্লোরিডাসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের সবগুলোতে শূন্যের কাছাকাছি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে তীব্রশীত সত্বেও দেশটির অন্য কোথাও কেউ মারা যাননি বলে জানা গেছে।
জমে যাওয়া তুষারের স্তুপে অনেক মানুষ নিজ বাড়িতে ও গাড়িতে আটকা পড়ে আছেন। তীব্র বাতাস ও বরফাচ্ছন্ন সড়ক গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাংশে স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বুধবার নিউইয়র্ক রাজ্যের সড়কগুলোতে ১০০’রও বেশি গাড়ি তুষারে আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়ক সচল করতে ও পরিত্যক্ত গাড়ি সরিয়ে নিতে নিউইয়র্ক রাজ্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো একশ’রও বেশি ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে নিয়োজিত করেছেন।
কুওমো বলেছেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই তুষারঝড় সব ধরনের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।”
যে সাতজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিতে ১৫ ফুট তুষারের নীচে চাপা পড়া অবস্থায় তার গাড়িতে পাওয়া গেছে। হৃদরোগে আক্রান্ত এক বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে না পারায় তার মৃত্যু হয়।
নিউইয়র্ক রাজ্যের এসব মৃত্যুর ঘটনা ছাড়াও আবহাওয়া জনিত কারণে নিউ হ্যাম্পাশায়ার ও মিশিগানে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার থেকে আবহাওয়াজনিত কারণে পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।