‘উপগ্রহ ধরার উপগ্রহ পরীক্ষা করছে রাশিয়া’

রাশিয়া পৃথিবীর কক্ষপথে পরিভ্রমণরত অপরাপর মহাশূন্যযানকে ধরতে সক্ষম একটি উপগ্রহের সম্ভাব্য পরীক্ষা চালাচ্ছে।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2014, 08:25 AM
Updated : 19 Nov 2014, 08:25 AM

মঙ্গলবার পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

এ ধরনের উপগ্রহ প্রযুক্তির বহু ধরনের ব্যবহার হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। এটি নষ্ট হয়ে পড়া উপগ্রহগুলো মেরামত করতে পারবে, আবার তাদের ধ্বংস কিংবা অকেজোও করে দিতে পারবে।

কসমস ২৪৯৯ নামের এই উপগ্রহটি তাকে বহনকারী রকেটের উপরের অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সেই রকেটটিকে পাকড়াও করেছে।

রাশিয়ার আগেই একই ধরনের পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্পন্ন করেছে।

২০১৩’র ২৫ ডিসেম্বর কসমস ২৪৯৯ উৎক্ষেপণ করা হয়। আগে থেকেই কক্ষপথে থাকা যোগাযোগ উপগ্রহের একটি দলের অংশ হিসেবে নতুন রদনিক উপগ্রহের সঙ্গে ২৪৯৯’কে পাঠোনো হয়।

আগের রদনিক উৎক্ষেপণগুলোতে তিনটি মহাশূন্যযান পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শেষবার মহাশূন্যে যাওয়ার পর এটি অতিরিক্ত চতুর্থ একটি বস্তু কক্ষপথে স্থাপন করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী প্রথমে এটিকে পরিত্যক্ত বস্তু বলে সনাক্ত করে, কিন্তু চলতি বছরের মে’তে রাশিয়া জাতিসংঘকে জানিয়েছে, ওই উৎক্ষেপণে তারা তিনটির জায়গায় চারটি উপগ্রহ পাঠিয়েছে।

এরই মধ্যে উপগ্রহ পর্যবেক্ষণকারীরা ওই নতুন উপগ্রহটিকে ইঞ্জিন ব্যবহার করে নিজের কক্ষপথ পরিবর্তন করতে দেখে, আর তারপর থেকে উপগ্রহটি অপ্রত্যাশিতভাবে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াতে থাকে।
৯ নভেম্বর যে রকেটটি ২৪৯৯’কে কক্ষপথে নিয়ে এসেছিল, সেই ব্রাইজ-কেএম’র রকেটের খুব কাছে গিয়ে হাজির হয় ২৪৯৯।
অগাস্টেই ২৪৯৯’কে একটি পরিদর্শক রকেট বলে অনুমান করেন কক্ষপথ পর্যবেক্ষক রবার্ট ক্রিস্টি।
একটি পরিদর্শক উপগ্রহকে চুপিসারে অন্য উপগ্রহের কাছে চলে যাওয়ার ও সেগুলোর ছবি তোলার সক্ষম করে তৈরি করা হয়। এই পরিদর্শগুলো অন্যান্য উপগ্রহের যোগাযোগের তথ্যেও আড়ি পাততে পারে। এই একই প্রযুক্তি অন্যান্য উপগ্রহকে অকেজো করার কাজেও ব্যবহার করা যায়।
এতে পরিদর্শক উপগ্রহটি উপগ্রহবিরোধী অস্ত্রে পরিণত হয়।
আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী মহাশূন্যে এ ধরনের বিশেষ অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ। তবে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার শুধু শত্রুতা থেকেই করা হয় তা নয়।
বেসামরিক উপগ্রহ অভিযানেও এ প্রযুক্তি দরকারি হয়ে উঠতে পারে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে উপগ্রহের ছোটখাটো মেরামত, জ্বালানি সরবরাহ ও কক্ষপথেই মেরামতের মাধ্যমে এসব বহু মূল্য সম্পদগুলোর আয়ু দীর্ঘ করে তোলা যায়।