ফিলা অভিযান: কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে বিজ্ঞানীরা

ধূমকেতুতে নামা রোবোট ফিলা’র ব্যাটারি ফুরিয়ে আসতে থাকায় ভূপৃষ্ঠের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খনন কাজ শুরু করা নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে আছেন ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2014, 02:40 PM
Updated : 14 Nov 2014, 02:47 PM

ইউরোপীয় অবতরণ যান ফিলা ঐতিহাসিকভাবে ধূমকেতু চুরিয়মোভে নামার পরও এর থ্রাস্টর এবং হারপুন সিস্টেম ঠিকমত কাজ না করায় এটি গন্তব্যস্থল থেকে বেশকিছুটা দূরে গিয়ে একটি খাড়া পাহাড়ের ছায়ায় গিয়ে স্থির হয়।

তিনটি পায়ের দুটিতে ভর দিয়ে ভূপৃষ্ঠে আটকে আছে ফিলা। উপরুন্তু পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পাওয়ায় এর ব্যাটারি চার্জ না হওয়ার ফলে এটি অকার্যকর হয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। সূর্যালোকের অভাবে শুক্রবার দিনশেষে ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে ফিলা সোলার প্যানেলে পর্যাপ্ত শক্তিও সঞ্চয় করতে পারবে না।

তাছাড়া, ফিলা ঠিক কোন অবস্থানে আছে সেটিও এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। ফলে এটিকে ল্যান্ডিং গিয়ারের সাহায্যে অন্যজায়গায় সরানোটাও বিজ্ঞানীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

ফিলা অবতরণের পর ভূপৃষ্ঠে খননকাজ চালানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে এর অবস্থান ঠিকমত বোঝা না যাওয়ায় এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানও ক্ষীণ হওয়ায় এ কাজ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু ফিলার ব্যাটারি ফুরিয়ে আসতে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজটি করার সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে বিজ্ঞানীদের।

বিজ্ঞানীরা অবশ্য এও বলছেন যে, ফিলাকে আরো শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম করে তোলা এবং সক্রিয় রাখার উপায় বের করার চেষ্টা করছেন তারা। এক্ষেত্রে একটি বিকল্প পথ হিসাবে ফিলার পুরো কাঠামোটিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এর সোলার প্যানেলে সুর্যালোক পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

ইউরোপীয় মিশন অপারেশনের প্রধান পাওলো ফেরি বলেন, “ আমাদের সময় ফুরিয়ে আসছে। আর সেকারণে আমরা আরো বেশি ঝুঁকি নিচ্ছি”। তবে তিনি এও বলেন যে, এখন পর্যন্ত আমরা যতটুকু করতে পেরেছি তাও খুব কম না। ফিলা প্রায় একশত ভাগের কাছাকাছি কাজ করতে পেরেছে।