২০৫০ সলের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা না গেলেও এর ন্যুনতম ব্যবহারের সুপারিশ করেছে ‘ইন্টারগভমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি)’র বিশেষজ্ঞরা। এ জ্বালানি বন্ধ না করা গেলে বিশ্বকে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্য্য়ের সম্মুখীন হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে তারা।
রোববার ডেনমার্কে প্রকাশিত আইপিসিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের সরকার এখন খুব বেশি অর্থ ব্যয় না করেই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। কিন্তু পৃথিবীর জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন রোধে ২১০০ সালের মধ্যে গ্রিণহাউজ গ্যাস নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে।
৪০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনটি পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রূপ যেখানে আটশ’ বিজ্ঞানী কাজ করেছেন। এতে বলা হয়, খরা, অতি বৃষ্টি, সমুদ্র দূষণ ও সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণ গ্রিণহাউজ গ্যাস।
আইপিসিসি’র প্রধান রাজেন্দ্র পাচৌরি রয়টার্সকে বলেন, “এখনো সময় আছে। যদিও তা খুব অল্প।”
শিল্প বিপ্লবের পর থেকে পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ এই তাপমাত্রা বাড়ার হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামিয়ে আনতে কাজ করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকতে হলে গ্রিণহাউজ গ্যাস নির্গমনের হার ২১০০ সালের মধ্যে শূন্যের কাছাকাছি বা নিচে নামিয়ে আনতে হবে। ১২০টির বেশি দেশের কর্মকর্তারা এই প্রতিবেদন অনুমোদন করেছেন।
বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে হাতে হাত রেখে লড়াই করার বিষয়ে একটি চূক্তিতে উপনীত হতে ২০১৫ সালের শেষ দিকে প্যারিসে জাতিসংঘের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ২০০টি দেশ অংশ গ্রহণ করবে। ওই বৈঠকে এই প্রতিবেদনটি গুরুত্ববহ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।