বিবিসি বলছে, আনবার প্রদেশে পাওয়া ওই গণকবরে পাওয়া লাশের সংখ্যা ৮০ থেকে ২২০টি হতে পারে।
আনবার একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র। এটি দিয়েই বাগদাদে যাওয়া যায় সহজে। এখান থেকেই আইএস জঙ্গিরা বাগদাদ দখলের পরিকল্পনা করেছিল।
জানা গেছে, নিহতদের অনেকেই আল বু নিমার গোত্রের যারা আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাকের শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।
চলতি বছরের জুনে আইএস গোষ্ঠী ইরাকের মসুল শহর দখল করে নেয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে সেখানে ৬শ’ কারাবন্দিকে তারা হত্যা করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, বন্দিদের একটি গিরিখাতের কাছে নিয়ে গিয়ে হাঁটুগেড়ে বসে বাধ্য করা হয়। আর এরপরই তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
সংগঠনটির লক্ষ্য শুধমাত্র এলাকা বা অঞ্চল দখল করা নয়, প্রতিপক্ষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়াও তাদের উদ্দেশ্য।
এটা খুবই স্পষ্ট যে, আইএস যেকোন সুন্নি নৃগোষ্ঠীর কাছে পরিষ্কারবার্তাই দিতে চাচ্ছে যে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারা যোগ দেবে তারা যেন চিন্তা করে, এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি তারাও হতে পারে।
আর এই পরিস্থিতিতে ইরাক সরকার এবং ইরাকি সেনাবাহিনী আইএস’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোন মিত্রপক্ষকেই হারাতে রাজি নয়।
ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে নিয়ে আইএস জঙ্গিরা শত শত মানুষকে হত্যা করেছে।