আল-আকসা বন্ধ করেছে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনের প্রতিবাদ

জেরুজালেমের পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এ পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার সামিল’ বলে তাৎক্ষণিকভাবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2014, 02:21 PM
Updated : 30 Oct 2014, 02:21 PM

ইসরায়েলের জননিরাপত্তা মন্ত্রী বলেছেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত আল-আকসা মসজিদ বা ‘টেম্পল মেউন্ট’ এ কেউ ঢুকতে পারবে না।

১৯৬৭ সালের পর ইসরায়েল এই প্রথম এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

সম্প্রতি এক অস্ত্রধারীর গুলিতে ইহুদি এক ধর্মগুরু আহত হও নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে আল-আকসা মসজিদ বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

তাছাড়া, ওই ইহুদি ধর্মগুরুকে হত্যাকারী সন্দেহে ইসরায়েলের পুলিশ এরই মধ্যে এক ফিলিস্তিনকেও হত্যা করেছে। নিহত এ ফিলিস্তিনির নাম মোহাতাজ হেজাজি। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে পূর্ব জেরুজালেমে তুমুল সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে নতুন করে ফিলিস্তিনি আন্দোলন শুরুর আশঙ্কা জেগে উঠেছে।

উত্তেজনার এ প্রেক্ষপটে আল-আকসা বন্ধের বিপজ্জনক সিদ্ধান্তের জন্য ইসরায়েল সরকারকে দায়ী করেছে ফিলিস্তিন।

এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা বলেছেন, “এর মাধ্যমে ইসরায়েল যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ ভয়ঙ্কর উস্কানির মাধ্যমে ফিলিস্তিনের জনগণ, তাদের পবিত্র স্থান এবং আরব তথা মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল”।

তিনি আরো বলেন, “আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে যে চরম উস্কানি দেয়া হয়েছে তার জন্য ইসরায়েলই দায়ী। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি উপায় অবলম্বন করবে”।

ওদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকেই পাল্টা দোষারোপ করেছেন এবং শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

মসজিদটি বন্ধ ঘোষণার পরই জেরুজালেমে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু।