গাজা সীমান্তে মিশরের বাফার জোন

ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্ত বরাবর ৫শ’ মিটার বাফার জোন গড়ার লক্ষ্যে উত্তর সিনাই উপদ্বীপের ওই এলাকার ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া শুরু করেছে মিশরীয় বাহিনী।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2014, 07:54 AM
Updated : 30 Oct 2014, 07:55 AM

গত সপ্তাহে উত্তর সিনাইয়ে জঙ্গিরা একটি সেনা চৌকিতে বোমা হামলা চালিয়ে ৩০ মিশরীয় সেনাকে হত্যা করার পর এই বাফার জোন গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সীমান্তে অস্ত্র চোরাচালান রোধ করতে ও জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে বিবিসি।

গাজা সীমান্তের ওই নির্ধারিত এলাকায় বসবাসকারী লোকজনদের নির্দেশ দেয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে।

বাফার জোনের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ খোঁড়া প্রতিরোধ করতে জোন বরাবর জলভর্তি একটি নালা খননের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পরিকল্পিত বাফার জোনটি গাজা সীমান্তের ১৩ কিলোমিটার জুড়েই থাকবে বলে জানা গেছে।

সরকার প্রদত্ত সময়ের মধ্যে যারা নিজ ঘরবাড়ি ছাড়তে পারবে না, তাদের সম্পত্তি সেনাবাহিনী জব্দ করবে।

উত্তর সিনাইয়ের গভর্নর জেনারেল আব্দেল ফাত্তা হারুর বুধবার জানিয়েছেন, সীমান্ত শহর রাফার ৮শ’ ঘরবাড়ি খালি করা হয়েছে।
বাস্তুচ্যুতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে যাদের বাড়ির মধ্যে চোরাচালানের সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্থানীয়দের ক্ষুব্ধ করে তুলছে বলে কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন। মিশরীয় সংবিধান অনুযায়ী জোর করে বাস্তুচ্যুত করা একটি ফৌজদারি অপরাধ।
সিনাইয়ের জঙ্গিদের সহায়তা করার জন্য মিশরীয় গণমাধ্যমগুলোতে গাজার হামাস প্রশাসনকে দায়ী করা হয়েছে। হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বোমা হামলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা নিহত হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, মহাসড়ক ও সেতু রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিয়ে আইন পাস করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তা আল সিসি।
তিনি সিনাইতে তিন মাসের জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেছেন।
সমালোচকরা বলেছেন সেনাবাহিনীকে দেয়া এসব দায়িত্ব তাদের ফের পথে নামিয়ে আনবে, আর এতে সাধারণ মানুষ আবার সেনা অনুশাসনের শিকার হবে।