আন্দোলনরত ছাত্রদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। আন্দোলনকারীরা এশিয়ার বাণিজ্য কেন্দ্রটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অবস্থান করায় নগরটি এক কথায় অচল হয়ে পড়েছে।
চলমান আন্দোলনের কারণে হংকংয়ের শক্তিশালী অর্থনীতি এবং মুদ্রার স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করেন বর্তমানে চীনের ‘সোসাইটি ফর ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং’ এর উপদেষ্টা পরিষদের উপ-নির্বাহী ইয়াম।
“চীনের সঙ্গে মধ্যবর্তী সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে হংকং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে।”
“মধ্যবর্তী সম্পর্ক অসহযোগী, অনাস্থাশীল এবং ঝামেলপূর্ণ হয়ে পড়লে নিশ্চিতভাবেই চীন হংকংয়ের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ফেলবে এবং নতুন করে অন্য কোথাও থেকে সম্পর্ক শুরু করবে। সেইসঙ্গে হংকংয়ের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় তারা তেমন ভূমিকা রাখবে না।”
ইয়ামের এই সতর্কবার্তা দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে চীনের শীর্ষ সংসদীয় উপদেষ্টা পরিষদ হংকংয়ের প্রতিনিধি জেমস তিয়েন পি-চুং কে বরখাস্ত করেছে।
তিয়েন চীন নিয়ন্ত্রাধীন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী লেয়ুঙ চুং-ইংকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পরে তিয়েন হংকংয়ের লিবার্টি পার্টির নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন।
২০১৭ সালের নির্বাচনে হংকংবাসীদের পছন্দ অনুযায়ী, নেতা নির্বাচনের অধিকার দেয়ার জন্য আন্দোলন করছেন গণতন্ত্রপন্থীরা।
আর বেইজিং হংকংয়ের পরবর্তী নেতা নির্বাচনে শুধু নিজেদের অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রার্থীদের সুযোগ দিতে চায়।