কোবানির উদ্দেশে ইরাকি কুর্দি বাহিনীর যাত্রা

ইসলামিক স্টেট’র (আইএস) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ লড়াইয়ে সিরীয় কুর্দি যোদ্ধাদের সহায়তার লক্ষ্যে ইরাকি কুর্দি বাহিনী পেশমেরগা’র যোদ্ধারা কোবানির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।

>>রয়টার্স
Published : 29 Oct 2014, 07:14 AM
Updated : 29 Oct 2014, 07:14 AM

মঙ্গলবার উত্তর ইরাকের কুর্দি অঞ্চল থেকে পেশমেরগা বাহিনীর একটি বহর অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই করে যাত্রা শুরু করেছে, এমন একটি ফুটেজ কুর্দি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখানো হয়েছে।

ইরাকি কুর্দিস্তান ডেমক্রেটিক পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা হেমিন হাওরামি তার ট্যুইটার একাউন্টে জানিয়েছেন, পেশমেরগার যোদ্ধারা উত্তর ইরাকের আর্বিল বিমানবন্দর থেকে উড়ে তুরস্কে যাবে, সেখান থেকে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে কোবানির দিকে যাত্রা করবে।
পরে সিরীয় কুর্দিস ডেমক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টির (পিওয়াইডি) দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা সালেহ মোসলেম বলেছেন, পেশমেরগা বাহিনীর ১৫০ জন যোদ্ধা ইরাক থেকে তুরস্কে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে তারা কোবানিতে পৌঁছে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
একমাসেরও বেশি সময় ধরে সিরীয় সীমান্ত শহর কোবানির কুর্দি প্রতিরোধকারী যোদ্ধারা শহরটিতে আক্রমণকারী আইএস জঙ্গিদের প্রতিরোধ করে রেখেছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় আইএস’র বহু যোদ্ধা নিহত ও সামরিক রসদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুবিধাও তাদের কাজে লেগেছে।
এতে আইএস জঙ্গিরা শহরটির দখল নিতে না পারলেও শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলাও তাদের অবরোধে ফাটল ধরাতে পারেনি। আইএস’র রসদ ও বাহিনীর সদস্য সরবরাহ অটুট থাকায় শক্তিক্ষয় দ্রুত পূরণ করতে পারছে তারা।
কিন্তু কোবানির কুর্দি প্রতিরোধকারীরা অবরুদ্ধ থাকায় এই উভয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকছে। তাদের সামরিক রসদ যোগানের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র বিমান থেকে রসদ ফেললেও তার কিছু অংশ শত্রুপক্ষ আইএস’র হাতে গিয়ে পড়ে।
আর প্রতিরোধ বাহিনীর যোদ্ধা সরবরাহ না থাকায় প্রবল চাপে ছিল কুর্দি প্রতিরোধকারীরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় ও আন্তর্জাতিক চাপে ইরাকি কুর্দি যোদ্ধাদের কোবানি যেতে সহায়তার ঘোষণা দেয় কোবানি সীমান্তের দেশ তুরস্ক।
তুরস্কের ওই ঘোষণার পথ ধরেই পেশমেরগার যোদ্ধারা এখন কোবানির পথে।
এক বিবৃতিতে কোবানিতে পেশমেরগা বাহিনীর মোতায়েনকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।