‘এমআইটিতে প্রতি ৬ ছাত্রীর ১ জন যৌন নিগ্রহের শিকার’

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) আন্ডারগ্রাজুয়েট নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন বলে সম্প্রতি এক জরিপে উঠে এসেছে।

>>রয়টার্স
Published : 28 Oct 2014, 08:09 AM
Updated : 28 Oct 2014, 08:58 AM

সোমবার জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এমআইটি জানিয়েছে, প্রকৃত পরিস্থিতি এমন হলেও পাঁচ শতাংশেরও কম শিক্ষার্থী যৌন নিগ্রহের অভিযোগ জানিয়ে থাকেন।

পাঁচ শতাংশ আন্ডারগ্রাজুয়েট ছাত্রী জানিয়েছেন, তারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

প্রতি পাঁচজনের একজন অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। গ্রাজুয়েট ও আন্ডারগ্রাজুয়েট ছাত্রীদের মধ্যে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ার সংখ্যা ৩৫ শতাংশ।

জরিপ অনুযায়ী, অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতার পরিস্থিতিতে পড়াদের দুই-তৃতীয়াংশ ঘটনার কথা কাউকে জানালেও এদের পাঁচ শতাংশেরও কম প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।

জরিপের ফলাফলসহ এক ক্যাম্পাস ইমেইলে এমআইটি’র প্রেসিডেন্ট রাফায়েল রেইফ লিখেছেন, “যৌন নিগ্রহ আমাদের এমআইটি’র মূল মূল্যবোধের লঙ্ঘণ। এখানে এ বিষয়টির কোনো স্থান নেই।”

জরিপটিতে অংশ নেয়ার জন্য এমআইটি সব শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। ২৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানের আন্ডারগ্রাজুয়েট ও গ্রাজুয়েট ১০,৮৩১ শিক্ষার্থীর সবার কাছে জরিপের বিষয় জানিয়েছে ইমেইল পাঠানো হয়।

এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেটি নিজেদের ক্যাম্পাসে সংঘটিতে যৌন অপরাধের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করলো।

প্রতিষ্ঠানের এক সাবেক শিক্ষার্থী শিক্ষার্থীদের সংবাদপত্রে নিজের নাম প্রকাশ না করে ক্যাম্পাসে তার ধর্ষিত হওয়ার কথা লিখেছিলেন। এর পরপরই এমআইটি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করে।
এছাড়া কয়েক মাসে এ ধরনের কয়েকটি ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এসব ঘটনা বন্ধ করার বিষয়েও সচেতনতা বাড়তে থাকে।
এমআইটি’র চ্যান্সেলর সিন্থিয়া বার্নহার্ট বলেছেন, “আমরা এ সমস্যাটি সম্পর্কে জানতে, এর ব্যাপকতা বুঝতে ও এ সমস্যার সমাধান করতে চাই।”
যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে যৌন অপরাধ ‘মহামারি’ আকার ধারণ করছে বলে সম্প্রতি হোয়াইট হাউজ থেকে দেয়া এক ঘোষণায় সতর্ক করা হয়েছিল।