ইদলিবে নুসরা ফ্রন্ট বিদ্রোহীদের হামলা

আল কায়েদার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জঙ্গিগোষ্ঠী নুসরা ফ্রন্ট ও সিরিয়ার অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী সরকারি বাহিনীর দখলে থাকা ইদলিবে হামলা চালিয়েছে।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2014, 05:06 AM
Updated : 28 Oct 2014, 05:10 AM

সোমবার ভোরে বিদ্রোহীরা ইদলিবের চারদিক থেকে শহরটিতে আক্রমণ পরিচালনা করে বলে ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’র (এসওএইচআর) বরাত দিয়ে মঙ্গলবার জানিয়েছে বিবিসি।

বিদ্রোহীরা শহরের প্রবেশ পথের তল্লাশি চৌকিগুলোতে হামলা চালিয়ে কিছু সময়ের জন্য শহরটির ভিতরে অবস্থান নেয়। এ সময় অল্প সময়ের জন্য তারা ইদলিবের গভর্নরের দপ্তর ও পুলিশ সদরদপ্তরে প্রবেশ করে।

কিন্তু এর পরপরই পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে বিদ্রোহীদের শহর থেকে হটিয়ে দেয় সরকারি বাহিনী।

নুসরা ফ্রন্ট দাবি করেছে, পাল্টা হামলার মুখে পিছু হটার আগে তাদের যোদ্ধারা সরকারি বাহিনীর বহু সেনাকে হত্যা করেছে।

এসওএইচআর এক সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, শহরটির দক্ষিণের সীমানায় মাস্তুউমেহ পাহাড়ের কাছে অধিকাংশ আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

কিছু সময়ের জন্য বিদ্রোহীরা পাহাড়টি দখল করে নিয়েছিল বলে জানা গেছে। এরপর হেলিকপ্টার গানশিপ নিয়ে সরকারি বাহিনী পাল্টা হামলা শুরু করে। এ সময় বহু বিদ্রোহী যোদ্ধা ও সরকারি সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইদলিব প্রদেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে থাকলেও একই নামের প্রাদেশিক রাজধানীটি প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণেই রয়ে গেছে।

বিবিসি’র বৈরুত প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিশ্বের মনোযোগ ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের তৎপরতা ও তাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার দিকে থাকার সুযোগে সিরিয়ায় প্রভাব বিস্তার করছে আরেক জঙ্গিগোষ্ঠী নুসরা ফ্রন্ট ও তার মিত্ররা।

এসব গোষ্ঠীর যোদ্ধারা সিরিয়ার উত্তরপশ্চিম ও দক্ষিণে ধীরে ধীরে অগ্রগতি অর্জন করছে।

২০১২ সালে সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত ইদলিব শহর কিছু সময়ের জন্য দখল করে নিয়েছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। এছাড়া গৃহযুদ্ধের পুরোটা সময়ই শহরটি সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।

চতুর্থ বছরে প্রবেশ করা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত দুই লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।