২০১১ সালে স্বৈরাচারী নেতা জিনে আল আবেদিন বেন আলি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে যে রাজনৈতিক রূপান্তর চলছে, এই নির্বাচন তার অন্যতম চূড়ান্ত পর্ব বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রোববার সকাল স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় (আন্তর্জাতিক সময় ৬টা) ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা সন্ধ্যা ৬টা (আন্তর্জাতিক সময় ১৭টা) পর্যন্ত চলবে।
দেশজুড়ে ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার রয়েছেন। তবে প্রবাসী ভোটাররা শুক্রবারই তাদের ভোট প্রদান শেষ করেছেন।
নির্বাচনপূর্ব কোনো জরিপ চালানো না হলেও মধ্যপন্থি ইসলামি দল ইন্নাহদা পার্টি ভালো ফল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১১ সালে তিউনিসিয়ার শেষ জাতীয় নির্বাচনেও দলটি ভালো করেছিল।
উদারপন্থি নিদ্দা তুনিস (তিউনিসিয়ার ডাক) ইন্নাহদা’র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রধান দলগুলো উচ্চ বেকারত্ব হ্রাস ও অর্থনীতিকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিউনিসিয়াকে “আরব বসন্তের” জন্মভূমি হিসেবে দেখা হয়। দেশটির একনায়ক বেন আলির পতনের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরব ভূমিতে ছড়িয়ে পড়ে অনেকগুলো আরব একনায়কের পতনের কারণ হয়।
তবে এই আন্দোলন তিউনিসিয়াতেই সবচেয়ে সফল হয়েছে বলে মনে করা হয়। আরব দেশগুলোর মধ্যে এই দেশটি সবচেয়ে কম সহিংসতার মধ্য দিয়ে সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সফল হয়েছে।
তবে এসব অর্জন সত্বেও জঙ্গিগোষ্ঠিগুলো নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোর হুমকি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানী তুনিসের শহরতলীতে জঙ্গিদের গুলিতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে দেশজুড়ে ৫০ হাজার নিরাপত্তা সদস্য ও ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে।
আগামী বুধবার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।