লেবাননে সেনা -বন্দুকধারী লড়াইয়ে নিহত ৯

ইসলামি উগ্রপন্থি বন্ধুকধারীদের সঙ্গে লেবাননি সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে তিন সেনাসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন।

>>রয়টার্স
Published : 26 Oct 2014, 06:28 AM
Updated : 26 Oct 2014, 02:17 PM

শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর ত্রিপোলি ও এর আশপাশে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

উগ্রপন্থিদের দমনে সেনাবাহিনী গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার থেকে রকেট নিক্ষেপ করে।

নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, শনিবার সকালে বন্দুকধারীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যাপক গুলি বিনিময় হওয়ার পর বিকেলে সেনাবাহিনী বন্দুকধারীদের তাদের অবস্থান থেকে হটিয়ে দেয়।

বন্দুকধারীরা কোন গোষ্ঠির সদস্য তা পরিষ্কার হওয়া যায় নি বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।

ত্রিপোলির নিকটবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় গ্রাম বাহনিনের কাছে সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে বন্দুকধারীরা গুলিবর্ষণ করলে তিন সেনা আহত হন। আহত এক সেনা পরে মারা যান।

উত্তরাঞ্চলীয় অপর শহর আল মিনায় আরেকটি হামলায় এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার পর উগ্রপন্থিদের এলাকা লক্ষ্য করে দুটি হেলিকপ্টার থেকে রকেট নিক্ষেপ করে সেনাবাহিনী।

শুক্রবারের গোলিগুলির ঘটনায় আহত এক সেনাও এদিন মারা যান। এছাড়া চার উগ্রপন্থি ও দুজন বেসামরিক মানুষও নিহত হয়েছেন বলে নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে।

দুদিনের গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ১৪ জন সেনা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে ত্রিপোলিতে গাড়িতে চড়ার সময় এক সেনাকে ধরে নিয়ে গিয়ে আটক রেখেছে বন্দুকধারীরা।

এক বিবৃতিতে সেনবাহিনী বলেছে, “সন্ত্রাসী বন্দুকধারীদের প্রতিরোধে ত্রিপোলিতে অভিযান চলছে এবং সন্ত্রাসীরা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

সাড়ে তিন বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের প্রভাবে ত্রিপোলিতেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। সিরীয় সীমান্ত থেকে ৩০ কিমি দূরের এই বন্দর শহরটি সুন্নি অধ্যুষিত। দীর্ঘদিন ধরেই সুন্নি উগ্রপন্থিদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে শহরটি পরিচিত।

এদের অনেকেই লেবানন সেনাবাহিনী শিয়া হিজবুল্লাহ আন্দোলনের যোগসাজসে কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে। সিরিয়ার শিয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষ হয়ে লড়াই করার জন্য যোদ্ধা পাঠিয়েছে হিজবুল্লাহ। অপরদিকে সিরিয়ার প্রধানত সুন্নি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে ত্রিপোলির সুন্নিরা।