জীবিতের শরীরে ‘মৃত’ হৃৎপিণ্ডের সফল প্রতিস্থাপন

`মৃত হৃৎপিণ্ড’ ব্যবহার করে বিশ্বের প্রথম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের দাবি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার শল্য চিকিৎসকরা।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2014, 10:21 AM
Updated : 25 Oct 2014, 10:21 AM

এ ধরনের অস্ত্রোপচারে এর আগে যেসব হৃদপিণ্ড ব্যবহৃত হয়েছিল তার সবই ছিল দাতার মস্তিষ্কের মৃত্যু নিশ্চিত করার পরও তার স্পন্দন হতে থাকা হৃৎপিণ্ড।

কিন্তু সিডনির সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালের শল্য চিকিৎসকদের একটি দল প্রথমবারের মতো ২০ মিনিট আগে স্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘মৃত’ একটি হৃৎপিণ্ড ব্যবহার করে সফল অস্ত্রোপচার করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রথমবারের মতো ‘মৃত’ হৎপিণ্ড পাওয়া রোগী ৫৭ বছর বয়সী মিশেল গ্রিবিলাস বলেছেন, তিনি নিজেকে দশ বছর কম বয়সী বলে অনুভব করছেন যিনি “অন্য ব্যক্তিতে” পরিণত হয়েছেন।

এতদিন পর্যন্ত হৎপিণ্ডই একমাত্র অঙ্গ ছিল যা স্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর ব্যবহার করা হতো না। স্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া হৃৎপিণ্ড রক্ত সংবহন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে বলে মনে করা হয়।

সাধারণত মস্তিষ্কের মৃত্যু হওয়া মৃত ব্যক্তিদের তখনো স্পন্দিত হতে থাকা হৃৎপিণ্ড সংগ্রহ করে তা চার ঘন্টার মতো বরফে রেখে দিয়ে তারপর রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হতো।

সিডনিতে স্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া যে হৃৎপিণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে, তা ‘হার্ট-ইন-এ-বক্স’ নামক যন্ত্রে স্থাপন করে তাতে স্পন্দন ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

যন্ত্র হৃৎপিণ্ডটিকে উষ্ণ রেখেছে, হৃৎ স্পন্দন ফিরিয়ে এনেছে এবং হৃৎপেশীগুলো যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য যন্ত্রটির মাধ্যমে এক ধরনের তরল ব্যবহার করা হয়েছে।
দুই মাস আগে হৃৎরোগী গ্রিবিলাসের শরীরে এই অস্ত্রোপচারটি করা হয়।
উৎফুল্ল গ্রিবিলাস বলেছেন, “এখন আমি পুরোপুরি অন্য মানুষ। আমরা বয়স যেন ৪০ বছর, এমন অনুভব করছি আমি। আমি খুব ভাগ্যবান।”
গ্রিবিলাসের পর একই ধরনের আরো দুটি সফল প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।