কোবানির পতন ঘটতে পারে এখনো: যুক্তরাষ্ট্র

ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর হাতে সিরিয়ার সীমান্ত শহর কোবানির পতনের ঝুঁকি কিছুটা কমে এলেও এ আশঙ্কা এখনো কাটেনি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2014, 03:33 PM
Updated : 24 Oct 2014, 03:33 PM

কোবানিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অবিরাম বিমান হামলা এবং সিরীয় কুর্দি যোদ্ধাদের অস্ত্র ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার পরও আইএস শেষপর্যন্ত শহরটি দখলে নিয়ে নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের কর্মকর্তারা।

কোবানির কুর্দি যোদ্ধারা আইএসকে রুখতে প্রাণপনে যুদ্ধ করছে। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন মিত্রবাহিনী বিমান হামলার পাশাপাশি অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ করে কুর্দি যোদ্ধাদের যুদ্ধে সাহায্য করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “কুর্দি যোদ্ধাদের সহায়তা করতে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। বর্তমানে কোবানির অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এখনো শহরটির পতন হতে পারে। যদিও তারা (কুর্দি যোদ্ধারা) এ মুহূর্তে খুব ভালোভাবে আইএস’কে সামাল দিচ্ছে।”

এ পরিস্থিতিতে কোবানির পতনের ঝুঁকি কিছুটা কমেছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমি তাই-ই বলব” ।

ইরাক ও সিরিয়ার আইএস জঙ্গিদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে গত একমাসে ১৭০০টির বেশি বোমা ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন মিত্রবাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৮ অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া আকাশ পথের এ যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর বিমানগুলো ৬৬০০ বারের বেশি অভিযান চালিয়েছে। এর মধ্যে ৬৩২ বার হামলা চালানো হয়।

ওয়াশিংটন জানায়, এই হামলার বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র চালিয়েছে। মিত্রবাহিনীর অন্য দেশগুলো মাত্র ৭৯ বার হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে নেতৃত্বাধীন বাহিনী এ পর্যন্ত ২৮৬ টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

যদিও এই বিমান হামলা নিয়ে বিশ্বব্যাপী এখনো বিতর্ক চলছে। হোয়াইট হাউজের দাবি, বিমান হামলার মাধ্যমে তারা জঙ্গি দলটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। আর বাস্তব চিত্র হচ্ছে, এই হামলার পরও আইএস জঙ্গিদের তৎপরতা চলছে।

ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ডস বিমান হামলা চালিয়েছে। ওদিকে, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বাহরাইন, জর্দান সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত হামলায় অংশ নিয়েছে। কোবানি তুরস্কের সীমান্তবর্তী শহর হলেও এখনো পর্যন্ত আইএস এর বিরুদ্ধে কোন হামলায় অংশ নেয়নি দেশটি।

তবে কোবানিকে রক্ষার যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য ইরাকের ২০০ কুর্দি পেশমের্গা যোদ্ধাকে তুরস্কের ভেতর দিয়ে সিরিয়ায় ঢুকতে দেয়ার ব্যাপারে একটি চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান।