প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় দুইশ বিক্ষোভকারী প্রধান নির্বাহী লেয়ুং চুং-ইং এর বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা করে। অন্য আন্দোলনকারীরা হংকংয়ের প্রধান সড়কগুলো দখল করে রেখেছে।
পূর্ণ গণতন্ত্রের দাবিতে প্রায় একমাস ধরে উত্তাল হংকং। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ভোটের মাধ্যমে নিজেদের নেতা নির্বাচন করার সুযোগ পাবে হংকংয়ের নাগরিকরা। তবে নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই করে দেবে চীন। চীনের এই প্রার্থী বাছাই করে দেয়াতেই আপত্তি গণতন্ত্রপন্থিদের। তারা উন্মুক্ত মনোনয়নের সুযোগ চাইছে।
এশিয়ার বানিজ্যিক নগরীটির শীর্ষ পাঁচ নেতার সঙ্গে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো গণতন্ত্রপন্থি ছাত্রনেতাদের বৈঠক হয়। যদিও ওই বৈঠকে চলমান অচলাবস্থা শেষ হওয়ার খুব বেশি সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া যায়নি।
লেয়ুং এর বাড়ি অভিমূখে রওনা হওয়া আন্দোলনকারীদের একজন উইং চ্যাং বলেন, “সরকার কথা শুনবে এই আশাতেই আমি এখানে এসেছি। যদি সরকার কথা না শোনে তবে আমরা আমাদের অস্তিত্ব এবং সর্বাত্মক মনোনয়নের অধিকারের দাবিতে এভাবে বার বার আসতেই থাকব।”
এ সপ্তাহে প্রধান নির্বাহীর মন্তব্য নিয়েও বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। উন্মুক্ত মনোনয়ন মেনে না নেয়ার পক্ষে লেয়ুংয়ের যুক্তি হচ্ছে সেক্ষেত্রে দরিদ্র জনগণ রাজনীতিতে বেশি মাথা ঘামানোর সুযোগ পাবে।
সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকংকে ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকে ‘এক দেশ দুই নীতিতে’ হংকংয়ে চীনের শাসন চলছে।