শিশু অধিকার আন্দোলনকারী মালালা এই পুরস্কারের ১ লাখ মার্কিন ডলার পাকিস্তানের শিক্ষা খাতে দান করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সাহসিকতা ও অটল দৃষ্টিভঙ্গীর স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর বিশ্বের নারী-পুরুষ ও সংস্থার মধ্য থেকে নির্বাচিতকে লিবার্টি মেডেল দেয়া হয়।
সাহসিকতা ও মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা বঞ্চিতদের পক্ষে সোচ্চার মুখপাত্র-প্রতীক হয়ে ওঠার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কন্সস্টিটিউশন সেন্টার (এনসিসি) জানিয়েছে।
মালালা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বাস করছেন। তিনি পাকিস্তানে নারীশিক্ষা অধিকার আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠছেন।
ইতোপূর্বে নেলসন ম্যান্ডেলা, সিমোন পেরেজ, কফি আনান প্রমুখ ব্যক্তি এই পুরস্কার পেয়েছেন।
১৭ বছর বয়সী মালালা ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী, যিনি মেয়েদের শিক্ষা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদ করে তালেবান হামলার মুখে পড়েন এবং গুলিবিদ্ধ হয়েও বেঁচে ফিরে এসে নারী শিক্ষার জন্যই কাজ করে চলেছেন।
পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার মেয়ে মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্ম ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই।
নারী শিক্ষার বিরোধী তালেবান জঙ্গিদের এলাকায় বসে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পক্ষে বিবিসি ব্লগে লেখালেখি করে তিনি যখন পশ্চিমা বিশ্বের নজর কাড়েন, তখন তার বয়স মাত্র ১১। কিন্তু নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় তাকে পড়তে হয় প্রাণনাশের হুমকির মুখে।
২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকার মিনগোরাত এলাকায় ১৪ বছর বয়সী মালালা ও তার দুই বান্ধবীকে স্কুলের সামনেই গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা।
পাকিস্তানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে বুলেট সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও পরে যুক্তরাজ্যের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ওই ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে, মালালার স্বপ্ন সফল করতে ২০১২ সালের ১০ নভেম্বরকে ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ।