ক্লিন্টনের প্রেমে পড়েছিলাম: মনিকা

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের প্রেমে পড়ার কথা স্বীকার করে এর জন্য জীবনে নেমে আসা ভোগান্তির কথা বলতে গিয়ে চোখের পানি ফেলেছেন হোয়াইট হাউসের এক সময়ের শিক্ষানবিস মনিকা নিউনস্কি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2014, 05:35 PM
Updated : 21 Oct 2014, 06:11 PM

ঘটনার জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হওয়া ও লজ্জার মুখে পড়ার জন্য ইন্টারনেটের প্রভাবকে দায়ী করেন মনিকা। আর তাই ইন্টারনেটের নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বিপ্লব শুরু করাটাই হয়ে উঠেছে তার বক্তব্যের মূল সূর।

‘দ্য টেলিগ্রাফ’ জানায়, গত সোমবার ফোর্বস ম্যাগাজিন আয়োজিত এক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম প্রকাশ্য এ বক্তব্যে মনিকা নিজেকে ইন্টারনেটের কারণে বিশ্বব্যাপী আত্মসম্মান খোয়ানো ‘প্রথম ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। বিল ক্লিনটনের সঙ্গে প্রেম নিয়েও কথা বলেন তিনি।

মনিকা বলেন, “আমি বসের প্রেমে পড়েছিলাম। কিন্তু আমার বস ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ১৯৯৫ সালের প্রেমের শুরু। তা কম-বেশি দু’বছর ধরে চলেছে। সেসময় সেটাই ছিল আমার সবকিছু। বলতে গেলে ওই সময়টা ছিল আমার জীবনের খুবই চমৎকার এবং স্বর্নালী সময়। কিন্তু তা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরই আমার জীবনের সবচে জঘন্য সময়ের শুরু।”

ক্লিনটনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার সময় মনিকার বয়স ছিল ২৫ বছর। দুইজনের যৌন কেলেঙ্কারির রগরগে সব খবর সে সময় আরো ছেয়ে যায় অনলাইন গসিপ সাইটগুলোতে। ইন্টারনেটের এমন নেতিবাচক প্রচারণায় হতবিহবল হয়ে কেবলই তার মরতে ইচ্ছা হত বলে জানিয়েছেন মনিকা।

আর এ থেকেই জনসম্মুখে মানুষকে হেনস্তা করার ইন্টারনেট চর্চার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নেন তিনি। এছাড়া, আরো একটি ঘটনা থেকেও মনিকা ইন্টারনেট-বিরোধী প্রচারাভিযানে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন। আর তা হল, ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমকামী ছাত্রের মৃত্যু। ওই ছাত্রের রুমমেট অনলাইনে একটি পুরুষের সঙ্গে তার ছবি ছেড়ে দেয়ার পর ছাত্রটি আত্মহত্যা করে।

মনিকা বলেন, ওই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ১৯৯৮ সালে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারণার কারণে তিনি নিজেও কিভাবে সময়ে সময়ে আত্মহত্যা করার কথা ভাবতেন।

তবে সেই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে উৎরে গেছেন জানিয়ে মনিকা বলেন, এখন থেকে এ ধরনের হেনস্তার শিকার যারা হবেন তাদের সহায়তায় নিয়োজিত হতে চান তিনি।