মারাত্মক এই মারণাস্ত্রটি বিশ্বের অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। ২০০৮ সালে গুচ্ছ বোমা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একটি চূক্তি সাক্ষর করে। যদিও ইউক্রেইন ওই চূক্তিতে সাক্ষর করেনি।
এইচআরডব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, “দোনেস্কে বেশ কয়েকটি গুচ্ছ বোমা ফেলা হয়েছে। যদিও ওই বোমাগুলো কারা ব্যবহার করেছিল তা সুনির্দিষ্ট করে এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে সন্দেহের আঙ্গুল ইউক্রেইনের সরকারি বাহিনীর দিকেই উঠছে।”
২ অক্টোবর দোনেস্কে নিজ কার্যালয়ের বাইরে বোমার আঘাতে নিহত হন ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস’ (আইসিআরসি) এর কর্মকর্তা সুইজারল্যান্ডের লরেন্ত দুপাসকুইয়ার।
এইচআরডব্লিউ জানায়, গুচ্ছ বোমাতেই রেড ক্রসের ওই কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাটির একজন জ্যেষ্ঠ অস্ত্র গবেষক মার্ক হিজনি বলেন, “বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে যে অস্ত্রটি নিষিদ্ধ সেটা পূর্ব ইউক্রেইনে ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা খুবই লজ্জাজনক।”
যদিও এইচআরডব্লিউ’র এই অভিযোগেকে ‘চূড়ান্ত অজ্ঞতা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের ‘সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের’ মুখপাত্র ভ্লাদিসলাভ সেলেজনিয়ভ।
তিনি বলেন, “আমরা নিষিদ্ধ কোনো অস্ত্র ব্যবহার করিনি। এমনকি যেখানে বেসামরিক লোকেরা বাস করে আমরা সেখানেও গোলাবর্ষণ করিনি। কারণ এটা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।”
৫ সেপ্টেম্বর থেকে ইউক্রেইনের সরকারি বাহিনী ও রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা যুদ্ধবিরতিতে রয়েছে। তবে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।