আলোচনায় বসছেন হংকংয়ের ছাত্রনেতারা

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের তিন সপ্তাহ ধরে চলা প্রতিবাদ কর্মসূচীর যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে আন্দোলনকারী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন নগর কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

>>রয়টার্স
Published : 21 Oct 2014, 05:29 AM
Updated : 21 Oct 2014, 05:46 AM

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিশ্রুত এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে যা গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারী এবং হংকংয়ের বেইজিংপন্থী কর্তৃপক্ষ, উভয়ের অনমনীয় মনোভাবের কারণে আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে আগে থেকেই সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

২০১৭ সালে হংকংয়ের পরবর্তী নেতা নির্বাচনের সময় অবাধ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে গণতন্ত্রপন্থীরা। অপরদিকে হংকং নিয়ন্ত্রণকারী বেইজিং চায় তাদের অনুগত প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন সীমাবদ্ধ রাখতে।

সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকংকে ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারপর থেকে ‘এক দেশ দুই নীতি’, এই ফর্মুলায় চীনের নিয়ন্ত্রণে বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে হংকং শাসিত হয়ে আসছে।

কমিউনিস্ট পার্টির এক দলীয় শাসনাধীন চীন মনে করে, বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রশ্নে হংকংকে যথেষ্ট ছাড় দেয়া হয়েছে। তাই গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের কোনো ছাড় দেয়ার মনোভাব বেইজিং পোষণ করে না।
অগাস্টে বেইজিং ঘোষণা করে, ২০১৭ সালে পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য ভোট দিতে পারবে হংকংবাসী, তবে ১২০০ সদস্যের মনোনয়ন কমিটির ছাড়পত্র পাবে এমন দুই থেকে তিনজন প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন।
বেইজিংয়ের এই ঘোষণাকে “ভুয়া” চীন-পদ্ধতির গণতন্ত্র আখ্যায়িত করে নির্বাচন উন্মুক্ত না করা পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেয় গণতন্ত্রপন্থী প্রতিবাদকারীরা।
সন্ধ্যার আলোচনায় হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী সি লেয়ুঙ অংশগ্রহণ করবেন না। তবে তার পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন নগরের দ্বিতীয় প্রধান কর্মকর্তা প্রধান সচিব ক্যারি ল্যাম।
বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি হওয়া ও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হওয়া ছাড়া আর কোনো কিছু হবে বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকরা।