রোববার কোবানির কাছে এসব অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
এতে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের মারণাস্ত্র সরবরাহ করছে, এটি পেন্টাগন প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করলো বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, তারা কোবানির কুর্দি বিদ্রোহীদের অস্ত্র, গোলাবারুদ ও চিকিৎসা রসদ সরবরাহ করেছে।
সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর সি-১৩০ বিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ ও চিকিৎসা রসদ সরবরাহ করেছে। কোবানিতে আইএসআইএল’কে (আইএস) প্রতিরোধ করার উদ্দেশে ইরাকের কুর্দি কর্তৃপক্ষের স্বীকার করা শর্তে এসব অস্ত্র পাঠানো হয়েছে।”
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কোবানির কাছে ১৩৫ বার যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তবে নতুন কোনো বিমান হামলার কথা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
এসব হামলায় আইএস’র শত শত যোদ্ধা নিহত হওয়ায় ও পাশাপাশি কুর্দি যোদ্ধাদের প্রতিরোধ লড়াইয়ের কারণে কোবানিতে আইএস’র এগিয়ে যাওয়ার গতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
কুর্দি যোদ্ধাদের প্রতিরোধ লড়াই সত্বেও আইএস’র ধারাবাহিক হুমকির মুখে কোবানির পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
সিরিয়ার সুন্নি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের সর্বশেষ নমুনা কুর্দি বিদ্রোহীদের অস্ত্র “সরবরাহ”।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়া এড়িয়ে গেলেও এই প্রথম বিদ্রোহীদের কট্টর অংশের মোকাবিলায় অপর অংশকে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করল যুক্তরাষ্ট্র।
অগাস্টে ইরাকে আইএস’র বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এর একমাস পর থেকে ইরাকের প্রতিবেশী সিরিয়া আইএস’র অবস্থানের ওপরও বিমান হামলা শুরু করে দেশটি।