এ ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
রোববার সরকারি কর্মকর্তা ও সেনাদের পাশাপাশি স্থানীয় গ্রামবাসীরা নিখোঁজদের উদ্ধারে ব্যাপক তল্লাশি অভিযানে অংশ নেয়।
নেপালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রধান যাদব কৌরালা রয়টার্সকে বলেন, “বুঝতে পারছি না নিখোঁজরা কোথায় আছেন। এমনকি তারা নিরাপদে আছেন না বিপদে আছেন তাও আমরা জানি না।”
“আমরা শুধুমাত্র তাদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি এবং তাদের জীবিত থাকার আশা করতে পারি।”
হিমালয় ভ্রমণকারীদের কাছে জনপ্রিয় পথ অন্নপূর্ণা অঞ্চলে অসময়ে এই তুষারঝড়ের পর পাঁচ শতাধিক পর্বতারোহীকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে প্রায় ২৩০ জন বিদেশি।
উচ্চতার দিক থেকে অন্নপূর্ণা পৃথিবীর দশম সর্বোচ্চ চূড়া। প্রতিবছর অক্টোবরে হাজার হাজার পর্বতারোহী হিমালয়ের অন্নপূর্ণায় ভ্রমণ করে। বছরের এই সময়টা সাধারণত পর্বতারোহণের জন্য উপযুক্ত।
বুধবার দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা ৩০টি মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছেন। এছাড়া, আরো নয়টি মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে।
দলপা জেলার প্রশাসক কে.পি. শর্মা বলেন, “অনেক পুরু হয়ে বরফ পড়েছে। উদ্ধারকর্মীদের জন্য ওই নয়টি মৃতদেহ তুলে আনা অত্যন্ত কঠিন”।
এটা এ বছর নেপালের বড় ধরনের পর্বত বিপর্যয়ের দ্বিতীয় ঘটনা। এপ্রিলে হিমালয়ে এক দুর্ঘটনায় ১৬ জন শেরপা মারা যান।
সেনা কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯৫ সালের পর এটাই হিমালয়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তুষারধসের ঘটনা। সেবার মাউন্ট এভারেস্ট এলাকায় তুষার ধসে ৪২ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।